সিরিয়াকে হুমকি হিসেবে দেখছে ইসরাইল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যপন্থী বক্তব্যের পরেও সিরিয়া থেকে হুমকির আশঙ্কা অব্যাহত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইসরাইল ওই হুমকির মোকাবিলায় সামরিক পদক্ষেপ জারি রেখেছে।
রোববার দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট মুল্যায়নকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে কাটজ বলেন, ‘দেশটির জন্য তাৎক্ষণিক ঝুঁকিগুলো এখনো চলে যায়নি এবং সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলী হুমকির মাত্রা আরো বাড়িয়ে তুলেছে, যদিও বিদ্রোহী নেতারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গী মধ্যপন্থী বলে দাবী করছেন।‘
এর আগে, শনিবার সিরিয়ার কার্যত নেতা আহমাদ আল-শারা বলেন, ইসরাইল সিরিয়ায় তাদের হামলার ন্যায্যতা দেয়ার জন্য মিথ্যা অজুহাত ব্যবহার করছে। যেহেতু দেশটি এখন পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেছে, তাই তিনি নতুন কোনো সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নন।
আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে অধিক পরিচিত, শারা ইসলামপন্থী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এ গোষ্ঠীটি গত রোববার আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যার মাধ্যমে এ পরিবারের পাঁচ দশকের কঠোর শাসনের অবসান ঘটে।
আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইসরাইল ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর তৈরি করা সিরিয়ার ভেতর একটি বেসামরিক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তারা দামেস্কের নিকটবর্তী কৌশলগত মাউন্ট হারমনের সিরীয় অংশেও প্রবেশ করেছে। সেখানে ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার একটি পরিত্যক্ত সামরিক পোস্ট-এর দখল নিয়েছে।
ইসরাইল বলেছে যে তারা সেখানে অবস্থানের কোনো ইচ্ছা পোষণ করে না এবং সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশকে তারা সীমিত ও অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করেছে। কিন্তু, একইসাথে তারা সিরিয়ার কৌশলগত অস্ত্র মজুদের ওপর শতাধিক হামলাও চালিয়েছে।
ইসরাইল বলেছে, তারা কৌশলগত অস্ত্র ও সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করছে যাতে সেগুলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করতে না পারে। এদের মধ্যে কিছু গোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সাথে যুক্ত আন্দোলন থেকে গড়ে উঠেছে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরাইলের গোলান মালভূমিতে বাফার জোন দখলের নিন্দা জানিয়েছে।
সিরিয়া টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাত ও যুদ্ধের পর সিরিয়ার যুদ্ধ-ক্লান্ত অবস্থা নতুন সংঘর্ষের জন্য উপযুক্ত নয়। এ পর্যায়ে অগ্রাধিকার হলো পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা এবং এমন কোনো বিরোধে না জড়ানো যা আরো ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।‘
তিনি আরো বলেন যে, কূটনৈতিক সমাধানই নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় এবং অপরিকল্পিত সামরিক অভিযান কাম্য নয়।
সূত্র : ভিওএ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা