১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুদ্ধ শেষে গাজা শাসন করবে হামাস-ফাতাহ

গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলার পর সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ - ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ও পশ্চিম তীরে ক্ষমতায় থাকা ফাতাহ ১৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সেখানে প্রশাসনিক দায়িত্ব ভাগ করে নেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

মঙ্গলবার উভয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরাইল-অধ্যুষিত পশ্চিম তীরের অংশবিশেষের প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকারী সংগঠন ফাতাহ এবং ২০০৭ সাল থেকে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস যৌথভাবে গাজা ভূখণ্ডের প্রশাসন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি নিয়োগ দেবে। এ কমিটিতে ঊর্ধ্বে ১৫ জন রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ টেকনোক্র্যাট থাকতে পারেন।

কর্মকর্তারা জানায়, ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্তের পর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় বেশ কয়েক মাস ধরে গাজার সংঘাত বন্ধের জন্য আলোচনা চললেও এখনো ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে ইসরাইল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সফল হওয়ায় গাজার যুদ্ধবিরতির উদ্যোগে গতিবেগের সঞ্চার হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতাকারীরা মত প্রকাশ করেন, এই চুক্তি ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে সহিংসতা ও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর মিত্র হামাসের হামলার পর যে যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে তা স্থায়ীভাবে অবসানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

ওই হামলায় হামাস প্রায় এক হাজার ২০০ ব্যক্তিকে হত্যা ও ২৫০ জনকে বন্দী করে। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো গাজায় প্রায় ১০০ বন্দী আটক আছেন, যাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন।

এর আগে, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হুশিয়ার দিয়ে তার সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে দোযখের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে’ যদি তিনি ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের আগে সব বন্দীকে মুক্তি না দেয়া হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার পাল্টা হামলায় ইসরাইল ৪৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। তাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। এই সংস্থা নিহতের সংখ্যা প্রকাশকালে বেসামরিক ও সামরিক ব্যক্তির সংখ্যা আলাদা করে উল্লেখ করে না।

ইসরাইল কোনো প্রমাণ না দিয়ে দাবি করেছে, নিহতদের মধ্যে ১৭ হাজারেরও বেশি উগ্রবাদী সদস্য।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement