১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

জাতিসঙ্ঘে ৬ জুলাইকে ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ হিসেবে ঘোষণার রেজ্যুলেশন গৃহীত

জাতিসঙ্ঘে ৬ জুলাইকে ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ হিসেবে ঘোষণার রেজ্যুলেশন গৃহীত - সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের প্লেনারিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিবছর ৬ জুলাইকে ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রস্তাবিত রেজ্যুলেশনটি, ভারত, নেপাল, পেরু, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি কোর গ্রুপের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়। জাতিসঙ্ঘের ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র এই রেজ্যুলেশনটি স্পন্সর করেছে এবং কোনো ভোট ছাড়াই জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে এটি গৃহীত হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপন করা প্রথম রেজ্যুলেশন যা কার্যকর বহুপাক্ষিকতার দ্বারা সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি ও অভাব দূরীকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতিরই সমার্থক।

নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে খসড়া রেজ্যুলেশনের ওপর জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মাঝে আলোচনা অব্যাহত রাখে এবং রেজ্যুলেশনের খসড়া চূড়ান্ত করে।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (সিরডাপ)’র মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে টেকসই পল্লী উন্নয়নে সহায়তার স্বীকৃতি স্বরূপ, সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার দিন ১৯৭৯ সালের ৬ জুলাইকে প্রতিবছর ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে, জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত রেজ্যুলেশনটি উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য উৎপাদন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং উন্নত জীবিকা নিশ্চিতকরণের মতো ক্ষেত্রগুলোসহ বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই পল্লী উন্নয়নের উপর গুরত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত মুহিত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ ঘোষণা ও পালনের মাধ্যমে সমন্বিত, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পল্লী উন্নয়নে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের নিমিত্ত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সারা বিশ্বে গৃহীত নানা উদ্যোগ ও কর্মসূচিকে অনুপ্রাণিত করবে।

রেজ্যুলেশনটি জাতিসঙ্ঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসঙ্ঘের সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ ও প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস পালন করার আহ্বান জানায়।

একইভাবে বেসরকারি সংস্থা, একাডেমিয়া, গ্রামীণ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সুশীল সমাজ, কৃষক সংগঠন, আদিবাসী ও স্থানীয় জনগণকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়াও যথাযথভাবে এই দিবস পালনে জাতিসঙ্ঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করতে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় রেজ্যুলেশনটিতে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল