০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫
`

প্রতিরক্ষা ব্যয়ের লক্ষ্যে পৌঁছালো ২৩টি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র

প্রতিরক্ষা ব্যয়ের লক্ষ্যে পৌঁছালো ২৩টি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র - ছবি : সংগৃহীত

ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গ জানিয়েছেন, দেশের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে তুলে রাখতে এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র।

৩২টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ২৩টি সদস্য রাষ্ট্রই আশা করছে যে- এবছর তারা তাদের সামরিক ব্যয় বিষয়ক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারবে। গত বছর এমন রাষ্ট্রের সংখ্যা ছিল ১০টি। ফেব্রুয়ারি মাসেও কেবল ১৮টি রাষ্ট্র এই শর্ত পূরণ করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

স্টলটেনবের্গ বলেন, ‘এটা ইউরোপ ও অ্যামেরিকার জন্য ভালো। বিশেষভাবে ভালো কারণ বাড়তি অর্থের অনেকটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খরচ হচ্ছে।'

ন্যাটো প্রতিরক্ষা অর্থায়ন লক্ষ্য বেঁধে দেয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। উদ্দেশ্য ছিল, সদস্য রাষ্ট্রগুলি তাদের জিডিপির দুই শতাংশ ব্যয় করবে জাতীয় ও জোটের যৌথ প্রতিরক্ষা খাতে। সাথে, বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ২০ শতাংশ অর্থ দিয়ে কেনা হবে নতুন যন্ত্রপাতি। গত বছর এই শর্ত পূরণ করে খুব কম সংখ্যায় সদস্য রাষ্ট্র, যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট ছিল।

পরিসংখ্যান বলছে, কে কত বেশি অর্থায়ন করতে পারে, সেই লড়াইয়ে যাওয়ার বদলে এই দুই শতাংশ খরচের বিষয়টি বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র ভালো ভাবে নিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, স্লোভেনিয়া ও ইতালির মতো রাষ্ট্রও তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়েছে।

খরচ বাড়ালো জার্মানি ও ফ্রান্সও
জাতীয় জিডিপির সবচেয়ে বড় অংশ প্রতিরক্ষা খাতে রেখে থাকে পোল্যান্ড (৪ দশমিক ১২ শতাংশ), এস্তোনিয়া (৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ)। ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যারা লক্ষণীয়ভাবে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে, তারা হলো জার্মানি ও ফ্রান্স।

১৯৯০ সালের পর এই প্রথম দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা ব্যয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলো জার্মানি। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে সামরিক খাতে খরচ বাড়িয়েছে জার্মানি।
নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী, মার্ক রুটে ন্যাটোর পরবর্তী মহাসচিব হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসও তার প্রতিরক্ষা ব্যয় লক্ষ্য পূরণ করার আশা করছে।

ট্রাম্প ও রাশিয়াকে ঘিরে অনিশ্চয়তা
নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন, যেখানে জয়লাভের আশা দেখছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সম্প্রতি তিনি বলেন, যে সকল ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র তাদের আর্থিক প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে পারবে না, তাদের আক্রমণ করার জন্য রাশিয়াকে ‘উদ্বুদ্ধ' করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের সুরক্ষা দেব না। বরং রাশিয়াকে উৎসাহিত করব তারা যা চায়, তাই করার জন্য। টাকা দিতে হবে, খরচ মেটাতে হবে।' ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে হোয়াইট হাউস।

স্টলটেনবের্গ বলেন যে- জোটসঙ্গীরা একে অপরকে সুরক্ষা না দেবার বিষয়টি সবার নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
হাতিকে চাঁদা না দেয়ায় শুঁড়ে তুলে আছাড়, ফার্মেসি মালিকের মৃত্যু চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটার শ্রমিকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি আগস্টে বন্যার আশঙ্কা : মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর গিনেস রেকর্ড গড়লেন নলছিটির অঙ্কন জামালপুরে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি ১০ বছর পর গ্রেফতার পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক : অর্থমন্ত্রী জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলে বেলজিয়ামে জন্মগ্রহণ করা নাকভি বাউয়েট ক্যাম্পাসে ১৬তম স্কলারশিপ ও ওয়েভার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত এলপিএলের প্রথম দিনই ব্যর্থ হৃদয়-মুস্তাফিজ কিশোর ইফাত শ্রীপুর থেকে হারিয়ে গেছে

সকল