উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ জুন ২০২৪, ১৮:১৫
জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, ক্রমবর্ধমান জলবায়ুর প্রভাব ও ব্যাপক দূষণ থেকে গ্রহের প্রয়োজনীয় বাস্তুসংস্থান রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহ্বান জানান আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাস্তুসংস্থান ও ভূমি পুনরুদ্ধারে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৈশ্বিক চুক্তি ‘কুনমিং-মন্ট্রিল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক’র অধীনে দেশগুলোকে তাদের সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশগুলো কিভাবে বন উজাড় প্রতিরোধ এবং বনায়ন বাড়াবে তা ঠিক করতে অবশ্যই তাদের জাতীয় জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে, প্রকৃতি রক্ষা করতে এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করতে আমাদের অবশ্যই ব্যাপকভাবে অর্থায়ন বাড়াতে হবে।’
১৯৭৩ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন হচ্ছে। এ দিন পরিবেশ নিয়ে ভাবনার প্রসারের জন্য বৃহত্তম বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘করব ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখব মরুময়তা, অর্জন করতে হবে খরা সহনশীলতা।’
অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হতে চাইলে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধারে বিনিয়োগ করা প্রতিটি ডলার অর্থনৈতিক সুবিধার ক্ষেত্রে ৩০ ডলারেরও বেশি ফেরত দেবে।’
অনিয়ন্ত্রিত দূষণ, জলবায়ু বিশৃঙ্খলা ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস রোধে ব্যর্থতা সবার কাছে দৃশ্যমান। স্বাস্থ্যকর, উর্বর জমিগুলো মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে, সমৃদ্ধ বাস্তুসংস্থান মৃত অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন বাড়ছে।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেন, ‘এর মানে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পানির উৎসগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং সম্প্রদায়গুলো বিপন্ন হয়ে পড়ছে- আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এই অবস্থা পরিবর্তনের সময় এসেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পুনরুদ্ধারকারী প্রজন্ম। আসুন আমরা ভূমি ও মানবতার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।’ সূত্র : ইউএনবি