ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র নিয়ে জাতিসঙ্ঘের প্রতিক্রিয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ মে ২০২৪, ২২:৪০
ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র নিয়ে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, এ ধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে৷
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে৷
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন৷ তিনি বলেন,‘আমরা আবারো জোর দিয়ে বলতে চাই যে মহাসচিব এমন সব কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাতে অঙ্গীকারবদ্ধ, যারা দক্ষতা ও সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলেন৷ এসব মানদণ্ডের মধ্যে আছে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও অঙ্গীকার৷'
প্রশ্নের উত্তরের শুরুতেই তিনি জানান,‘আমরা প্রতিবেদনটি দেখেছি৷ আমাদের শান্তিরক্ষা বিভাগের সহকর্মীরা এ বিষয়ে যোগাযোগ করছেন এবং এই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি বিবৃতি দিয়েছি৷'
ডুজারিকের জবাবের পর জানতে চাওয়া হয়,‘যে দেশ থেকে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তা পাঠানো হচ্ছে (স্বাগতিক দেশ), তারাই মূলত এসব কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাই করেন৷ সে ক্ষেত্রে, যদি কোনো দেশ বা দেশের শাসক নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হয়ে থাকে, তাহলে তারা কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করবে? তারা কীভাবে জানবে কে লঙ্ঘনকারী, আর কে লঙ্ঘনকারী নন?'
জবাবে ডুজারিক বলেন,‘যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে করা হয়৷ প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত মানদণ্ডে যাচাই হয়৷ পরের ধাপে বাছাইয়ের কাজটা করে স্বাগতিক দেশ এবং অন্য বাছাই প্রক্রিয়াটা হয় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে।’
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন,‘বিগত বছরগুলোতে অল্প কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে আমরা কর্মকর্তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ব-ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছি যারা আমাদের শান্তিরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন৷ এ ধরনের কিছু ঘটলে আমাদের শান্তিরক্ষা বিভাগের সহকর্মীরা যাচাই-বাছাই ও অন্যান্য নীতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে আলোচনার মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিই৷ এ ধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেয়া কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে৷ এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে৷'
সূত্র : ডয়েচে ভেলে