২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জাতিসঙ্ঘে মিয়ানমার জান্তা ও তালেবান সরকারের দূত নিয়োগ ফের স্থগিত

- ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের সামরিক সরকার ও আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনের জাতিসঙ্ঘে দূত নিয়োগের বিষয়টি দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত করা হয়েছে। অবশ্য পরবর্তী নয় মাসের মধ্যে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। জাতিসঙ্ঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটির রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে শুক্রবার রিপোর্টটির অনুমোদন দেয়ার কথা রয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের নয় সদস্যের এই ক্রেডেনশিয়াল কমিটিতে রয়েছে রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। লিবিয়ার বিরোধী দুই পক্ষের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ পিছিয়ে দেয়ায় বর্তমান দূতরাই দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে যাবেন বলে কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন।

গত বছর আগের সরকারকে উৎখাত করার পর জাতিসঙ্ঘে নতুন প্রতিনিধি নিয়োগ দেয় মিয়ানমার জান্তা ও তালেবান প্রশাসন। এরপর জাতিসঙ্ঘে মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাচ্যুত সরকার উভয় পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। মিয়ানমার জান্তা ও তালেবান প্রশাসনের প্রতিনিধিকে জাতিসঙ্ঘের গ্রহণ করার মানে হবে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের স্বীকৃতি দেয়ারই একটি ধাপ। এ দুটি সরকার সেটাই চেয়ে আসছে।

এর আগে গত বছর মিয়ানমার জান্তা ও তালেবান প্রশাসনের নিয়োগ দেয়া দূত গ্রহণের সিদ্ধান্ত স্থগিতের প্রতি সমর্থন দিয়েছিল জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ। এ বছর জাতিসঙ্ঘে লিবিয়ার প্রতিনিধিত্ব নিয়েও পরস্পর বিরোধী দাবি উঠেছে। বর্তমানে ত্রিপোলির ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ দূত প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্ট সমর্থিত ফাতহি বাশাগাহর নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় স্থিতিশীলতার সরকারও’ প্রতিনিধিত্ব করার দাবি জানিয়েছে।

১২ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটির সভা হয়। এতে ভোটাভুটি ছাড়াই মিয়ানমার, আফগানিস্তান ও লিবিয়ার প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ স্থগিতে মতানৈক্য হয়। কমিটি ৭৭তম অধিবেশনে ভবিষ্যতে এই নিয়োগগুলো পুনর্বিবেচনার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। আগামী বছরের মধ্য সেপ্টেম্বরে এই অধিবেশন শুরুর কথা রয়েছে। গত বছরের মধ্য আগস্টে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে তালেবান। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

সূত্র : রয়টার্স


আরো সংবাদ



premium cement