১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৫ শাবান ১৪৪৬
`

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লিতে ড্রোন হামলা, যা জানাইলেন আইএইএ

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশন (আই-এ-ই-এ) শুক্রবার নিশ্চিত করেছে যে ইউক্রেনে ক্ষতিগ্রস্ত চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির অবশিষ্টকে সুরক্ষাকারী একটি ভবনের দেয়ালের বাইরের অংশ ড্রোন আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এতে আগুন ধরে যায়। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা ছিল।

এবার কিয়েভ থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই স্থানে আক্রমণের জন্য ইউক্রেন রাশিয়াকে দোষারোপ করেছে তবে রাশিয়া তা অস্বীকার করে।

আই-এ-ই-এ’র ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে ওই স্থাপনায় অবস্থিত তাদের টিম জানায় যে তারা স্থানীয় সময় রাত ১টা ৫০ মিনিটে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায়। তারা বলছে যে সেখানে তাদের টিমের বাসস্থান থেকেই আগুন ও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা টিমকে জানান যে চেরনোবিলের ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লি থেকে রেডিও অ্যাক্টিভ নিঃসরণ বন্ধ করতে এবং সেটিকে বাইরের কোনো ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে নির্মিত নিউ সেফ কনফাইনমেন্ট (এনএসসি)’তে একটি ড্রোন আঘাত করে।

টিম আরো জানায় যে আগুন নেভাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে দমকল বাহিনীর লোকজন ও যানবাহন চলে যায়। তবে পরে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে মাঝে মাঝে আগুন দেখা যায়।

টিম আরো বলে যে ড্রোনের বিস্ফোরণের প্রভাবে তারা এই সুরক্ষা কাঠামোর বাইরের দিকে ভাঙনের চিহ্ন দেখতে পান। ইউক্রেনের নিউক্লিয়ার রেগুলেটারি কর্মকর্তারা শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন যে এই সুরক্ষা ভবনের বাইরের দিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভেতরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত চলছে।

আইএইএ বলছে এই এনএসসি ভবনের ভেতরে ও বাইরে বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে এবং কারো হতাহত হবার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই সংস্থার মহাপরিচালক বলেন যে এই ঘটনা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক‘ এবং এটি সামরিক সংঘাতের সময়ে পারমানবিক সুরক্ষার ব্যাপারে একটা চলমান ঝুঁকিকেই তুলে ধরে।

১৯৮৬ সালে এপ্রিল মাসে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ও আগুনে, চুল্লির ভবনটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরিবেশে বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণ ঘটে।

জাতিসঙ্ঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় এই বিস্ফোরণে সাথে সাথে ৩১ জন প্রাণ হারান এবং পরবর্তী বিকিরণের সামনে পড়ে ঠিক আর কতজন প্রাণ হারান সেটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

তবে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তেস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ায় এই বিকিরণের সম্মুখীন হন বেলারুশ, রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রায় ৮৪ লাখ লোক।

শুক্রবার সংবাদদাতাদের সাথে কথা বলার সময়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ এ ব্যাপারে রাশিয়ার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘রাশিয়া পারমাণবিক অবকাঠামোর উপর আঘাত করে না। তিনি ইউক্রেনের এই দাবিকে উস্কানিমূলক বলে অভিহিত করেন।’

ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম, ঝাপোরিঝয়িা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে তিন বছর ধরে চলতে থাকা লড়াই বার বার পারমাণবিক দূর্ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement
কারওয়ান বাজারে ইটিভি ভবনে আগুন সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার মির্জাগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত সংবিধান সংস্কারে পরিত্যক্ত ‘সমাজতন্ত্র’ পরিত্যাগ নারায়ণগঞ্জে জৈনপুরী পীরের দরবারে হাসনাত আব্দুল্লাহ নির্বাচনের আগে বিএনপির সংস্কার প্রয়োজন সিএনজি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কিভাবে আস্থা হারিয়েছিল বিশ্ব ‘জুলাই বিপ্লবে জীবন দিয়ে সাংবাদিক তুরাব দেশকে নতুনভাবে স্বাধীন করেছেন’ ৩ ইসরাইলির বিনিময়ে ছাড়া পেল ৩৬৯ ফিলিস্তিনি সংস্কারের সকল পজিটিভ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে জামায়াত : আব্দুল্লাহ তাহের

সকল