২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

২০২৩ সালে গড়ে দিনে ১৪০ নারী সঙ্গী-আত্মীয়ের হাতে নিহত : জাতিসঙ্ঘ

- ছবি - ইউএনবি

২০২৩ সালে নারীদের জন্য বাসা-বাড়ি সবচেয়ে প্রাণঘাতী স্থান হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও কিশোরীকে নিকটাত্মীয় বা পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে।

সোমবার জাতিসঙ্ঘের দু’টি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

ইউএস উইমেন এবং জাতিসঙ্ঘের মাদক ও অপরাধ দফতরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫১ হাজার এক শ’ নারী ও কিশোরীকে তাদের সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৮ হাজার আট শ’ জন।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিরোধী দিবসে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, হত্যা বেড়েছে বিষয়টি এমন নয়, আসলে তথ্য প্রাপ্তির উন্নতির কারণে সংখ্যা বেড়েছে।

তবে উভয় সংস্থা জোর দিয়ে বলেছে, এই ধরনের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে নারীদের এবং কিশোরীদের প্রভাবিত করে। কোনো অঞ্চলই এ থেকে মুক্ত নয়। প্রতিবেদনে আবারো বলা হয়েছে, ‘বাড়ি নারী ও মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান।’

২০২৩ সালে সঙ্গী ও পারিবারিক সহিংসতার কারণে সবচেয়ে বেশি হত্যার ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকায়। আনুমানিক ২১ হাজার সাত শ’ জনকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে। এই মহাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় এই ধরনের মৃত্যুর হারও সবচেয়ে বেশি ছিল। প্রতি এক লাখে ২.৯ জনকে হত্যা হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে।

আমেরিকা ও ওশেনিয়াতেও এ সংক্রান্ত মৃত্যুহার বেশি ঘটনা ছিল। আমেরিকায় প্রতি এক লাখে ১.৬ জন নারী এবং ওশেনিয়ায় প্রতি এক লাখে ১.৫ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এর বিপরীতে এশিয়া ও ইউরোপে মৃত্যুহার ছিল অনেক কম, যথাক্রমে প্রতি এক লাখে ০.৮ এবং ০.৬ জন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যক্তিগত পরিসরে বেশিরভাগ নারীকে তার সঙ্গী হত্যা করেছে। অন্যদিকে পুরুষ অথবা কিশোরদের হত্যা করা হয়েছে বাড়ির বাইরে কোথাও।

এতে আরো বলা হয়, মোট হত্যার শিকার মানুষের মধ্যে পুরুষ ও কিশোরেরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে পরিবারের মধ্যে প্রাণঘাতী সহিংসতার শিকার নারী ও মেয়েরা।

২০২৩ সালে হত্যার শিকার হওয়া নারীদের প্রায় ৬০ শতাংশই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যরা খুন করেছে। আর মোট হত্যাকাণ্ডের শিকার মানুষের মধ্যে নারীদের হার ২০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলো উদ্বেগজনকহারে হারে বাড়ছে। এসব মৃত্যু প্রায়ই লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ফলে ঘটে এবং সঠিক সময়ে ও কার্যকর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement