২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলনে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

ব্রাজিলে একর রাজ্যের হুনি কুইন আদিবাসী ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নিনাউ ইনু পেরেইরা নুনেস কপ২৯ সম্মেলনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। ফাইল ফটো : ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ - ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

দুই ডজনের বেশি বিশ্বনেতা বুধবার জাতিসঙ্ঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তাদের অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নিজ দেশের আবহাওয়া সংক্রান্ত বিপর্যয়ের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।

ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ বলেন, ‘গত এক বছরে স্পেন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং একইসাথে ক্রোয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ক্রমবর্ধনশীল তাপমাত্রার ভয়াবহ প্রভাবে বিপর্যয়কর বন্যা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে ভঙ্গুর এলাকার অন্যতম, ভূমধ্যসাগরে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

গ্রীক প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ইউরোপ ও বিশ্বকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমিয়ে রাখার জন্য যেসব ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে, সে বিষয়ে আরো সততা প্রদর্শন করতে হবে।

অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। তিনি বলেন, ওই দেশে এ বছর মৌসুমি বৃষ্টি থেকে ভয়াবহ বন্যার উৎপত্তি হয়েছিল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশটিতে বন্যার মাত্রা বেড়েছে। দুই বছর আগে সারা দেশজুড়ে বিস্তৃত বন্যায় এক হাজার সাত শ’ মানুষ নিহত হন। পাকিস্তানে প্রাণান্তকর তাপদাহও দেখা দেয়। এবারের বসন্তে হাজার হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দেশটিতে ঊর্ধ্বে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা দেখা দেয়।

প্রসঙ্গত, বুধবার দিনের শুরুতে আফ্রিকার দেশগুলোর মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা এই মহাদেশে সবুজ বিপ্লবের উদ্যোগ নেয়ার এবং একইসাথে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা ও খরার বিরুদ্ধে সহনশীলতা আরো বাড়ানোর আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, এ বছরের আলোচনার মূল বিষয়টি হলো জলবায়ু অর্থায়ন-অপেক্ষাকৃত ধনী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক ভূমিকা রাখার দায় থেকে দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেবে। এই উদ্যোগ দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি থেকে সরে আসতে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করবে।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement