১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নিখোঁজ এমপি আজিম কলকাতায় নিহত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার - সংগৃহীত

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ভারতের কলকাতা নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (২২ মে) নগরীর নিউটাউনে তাকে হত্যা করা হয়। তার লাশ উদ্ধার করা হয় না গেলেও রক্ত এবং অন্যান্য প্রমাণ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

আনোয়ারুল আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনে বলা হয়েছে, ‘ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে খুন হন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। গত আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর নিউটাউনে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লিগের তিনবারের সংসদ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে। কে বা কারা তাকে খুন করল তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।’

এতে আরো বলা হয়েছে, চিকিৎসা করাতে গত ১২ মে কলকাতা এসেছিলেন ওই সংসদ সদস্য। তার পর পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগ করেননি তিনি। ১৪ মে থেকে তার ফোনও ‘সুইচ অফ’ ছিল। তার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে আনোয়ারুলের পরিবার এর পর যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর যোগাযোগ করে দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সাথে। ওই সংসদ সদস্যের খোঁজে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতা পুলিশ। এরই মাঝে বুধবার নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হয় তার লাশের আলামত।’

জানা গেছে, ‘কলকাতায় এসে তিনি উঠেছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচিত বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। দুই দিন সেখানে থাকার পর ১৪ তারিখ তিনি গোপালকে জানান, বিশেষ প্রয়োজনে তিনি বের হচ্ছেন, আজই ফিরে আসবেন। তবে তার পরদিনও তিনি ফেরায় উদ্বিগ্ন গোপাল থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও তাকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। এর পরই সংসদ সদস্যের খোঁজে তৎপর হয়ে ওঠে ভারত ও বাংলাদেশ। এরই মাঝে তার নিহতের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।’

পাশাপাশি আরো একটি তথ্য বলছে, ‘কলকাতায় এসে নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। সেখানে তার সাথে ছিলেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু কে বা কারা খুন করল, কেনই বা খুন করল এখনো পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে নিউটাউন থানার পুলিশ এবং বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও এইচডিএফ কর্মকর্তারা তদন্তে নেমেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনে সিসিটিভি ফুটেজ।’


আরো সংবাদ



premium cement