০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

জন্মান্ধতা সারাতে ‘জিন এডিটিং'

প্রতি ৪০ হাজার মানুষে একজন এলসিএ-তে ভোগেন এবং খুব অল্প বয়সে প্রায় অন্ধ হয়ে যান৷ এই অন্ধত্বের কারণ এক ধরনের জিনের মিউটেশন৷ এই মিউটেশন সিইপি২৯০ নামের বিশেষ প্রোটিনের কাজে বাধা দেয়৷ এই প্রোটিন দৃষ্টির জন্য খুবই দরকারি - ডয়েচে ভেলে

জন্ম থেকে যারা অন্ধ তাদের চোখে আলো ফিরিয়ে দিতে গবেষকরা এক ধরনের টুল ব্যবহার করছেন৷ এর নাম সংক্ষেপে সিআরআইএসপিআর-সিএএস৯৷ খুব দ্রুত ফল পাবার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা৷

বিজ্ঞানীদের গবেষণাটি মূলত এই মানব জিন সংশোধনের টুলটিকে ঘিরে৷ তাদের আশা, এর মাধ্যমে বংশগত দৃষ্টিহীনতা বা জন্মান্ধতা সারানো যাবে৷ তারা ১৪ জনের ওপর গবেষণা করে ১১ জনের ক্ষেত্রে ভালো ফল পেয়েছেন৷ জটিল কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হয়নি৷

গবেষকরা বলছেন, শিশুদের অন্ধত্ব সারাতে জিন থেরাপির ব্যবহার এই প্রথম৷ হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিজ্ঞানী এরিক পিয়ার্স এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, গবেষণায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের ভেতর খুব উত্তেজনা কাজ করছিল৷

এক বিবৃতিতে পিয়ার্স বলেন,‘এই ব্যক্তিদের কেউই আই চার্টে কোনো লাইনই পড়তে পারতেন না, এদের চিকিৎসার কোনো সুযোগও ছিল না৷ যারা রেটিনায় সমস্যা নিয়ে জন্মান তাদের ক্ষেত্রে এটি দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা৷'

পরীক্ষাটির নাম দেয়া হয়েছে‘ব্রিলিয়ান্স'৷ ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ত ও দুই শিশু এতে অংশ নেন৷ তারা একরকমের জন্মান্ধতায় ভুগছিলেন, যাকে ‘লেবার কনজেনিটাল আমাউরোসিস' বা এলসিএ বলা হয়৷

প্রতি ৪০ হাজার মানুষে একজন এলসিএ-তে ভোগেন এবং খুব অল্প বয়সে প্রায় অন্ধ হয়ে যান৷ এই অন্ধত্বের কারণ এক ধরনের জিনের মিউটেশন৷ এই মিউটেশন সিইপি২৯০ নামের বিশেষ প্রোটিনের কাজে বাধা দেয়৷ এই প্রোটিন দৃষ্টির জন্য খুবই দরকারি৷

গবেষকরা জিন সংশোধনের মাধ্যমে দৃষ্টিহীনতা ছাড়াও এইচআইভি/এইডস, ডায়বেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ ও অ্যান্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্স সারানোর উপায় নিয়ে কাজ করছেন৷

সূত্র : ডয়েচে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement