রোজাবস্থায় চিকিৎসা
- অধ্যাপক ডা. মো: ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী
- ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
রমজানে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তা হলো রোজা রেখে কী কী কাজ করা যাবে বা কোন কোন ওষুধ সেবন করা যাবে। রোজা রেখে জরুরি ওষুধ ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে কি না? রোগীদের এসব প্রশ্নের উত্তরগুলো জানাতে এ প্রবন্ধ।
যেসব কারণে রোগীদের রোজা নষ্ট হবে না : ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বসম্মতিক্রমে এমন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন, যাতে অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখা অবস্থায় নিম্নলিখিত ব্যবস্থাপত্র নিলে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে রোজা ভঙ্গ হবে না। এ সেমিনারের সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।
- চোখের ড্রপস, কানের ড্রপস ব্যবহার করলে
- যেসব ওষুধ চামড়া দিয়ে শোষিত হয় যেমন- ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট, লোশন ও মেডিক্যাল প্লাস্টার ব্যবহার করলে
- চামড়া, মাংসপেশি, জয়েন্ট অথবা শিরা দিয়ে ইনজেকশন দিলে
- নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট জিহ্বার নিচে রেখে এনজিনার চিকিৎসা নিলে
- মাউথ ওয়াস, গার্গল অথবা মুখের স্প্রে ব্যবহার করলে
- অক্সিজেন ও অ্যানেসথেটিক ব্যবহার করলে
- যোনীপথে প্রেসারিজ, মেডিক্যাল ওভিওলস, ভেজাইনাল ওয়াশ ইত্যাদি দিলে
- লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গের বায়োপসি করলে
- ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য রক্ত দিলে
- ব্লাড ডোনেশন ও ব্লাড ট্রান্সফিউসন করলে
- টুথ ড্রিলিং, টুথ এক্সট্রাকসন, টুথ ক্লিনিং, মেসওয়াক বা দাঁত মাজলে
- এনডোসকপি ডায়াগনস্টিক বা অন্যান্য ইনটারভেনশনালের উদ্দেশ্যে করলে
- আরটেরিওগ্রাফির জন্য হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গের জন্য ক্যাথেটার এবং মিডিয়া দিলে
- নোজ ড্রপস এবং নোজ স্প্রে ব্যবহার করলে
- ইনহেলার ব্যবহার করলে
- ইনসুলিন গ্রহণ করলে
রোজার মাসে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
অন্যান্য সময়ে খাওয়া শুরু হয় সকালের নাস্তা দিয়ে আর শেষ হয় রাতের খাবার খেয়ে। রোজার মাসে খাওয়া শুরু হয় ইফতার দিয়ে আর শেষ হয় সাহরি খেয়ে। তাই রোজার মাসে ওষুধ খাবেন
১. সকালের ওষুধ খাবেন ইফতারের সময়, রাতের ওষুধ খাবেন সাহরির সময়।
২. রোজার মাসে ডাক্তারদের তিন বেলা ওষুধ লেখা উচিত হবে না। কারণ রাতে তিনবার ওষুধ খাওয়ার মতো সময় পাওয়া যাবে না।
৩. যেসব ওষুধগুলো এক বেলা খেতে হয় সেগুলো সাহরিতে না খেয়ে ইফতারে খাওয়া বাঞ্ছনীয়। কারণ সাহরিতে সঠিক সময়ে ঘুম ভাঙার নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার সময় নাও পাওয়া যেতে পারে। ইন্টারমেডিয়েট ইনসুলিন দু’বারই নেবেন।
৪. ইনসুলিন নেয়া : শর্ট অ্যাকটিং ইনসুলিন তিনবার না নিয়ে দু’বার নিতে হবে। বৃহত্তর পরিমাণ ইফতারের সময় এবং ক্ষুদ্রতর পরিমাণ সাহরির সময়। ইফতারের ২০ মিনিট আগে ইনসুলিন নিতে পারবেন। ইনসুলিন নিলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
৫. অ্যাজমা রোগীর ক্ষেত্রে দিনে ইনহেলার নিলে রোজা নষ্ট হবে না। ইনহেলার একটি বায়বীয় পদার্থ। বাতাস নিলে যদি রোজা নষ্ট না হয় তা হলে ইনহেলার নিলে কেন নষ্ট হবে?
৬. রোজার মাসে পায়ুপথে ওষুধ নেয়া যায়।
৭. মাংসপেশি বা শিরাপথে ইনজেকশন নেয়া যাবে।
৮. অক্সিজেন নেয়া যাবে।
রোজার মাসে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে
- লিভার ও অন্যান্য অঙ্গের বায়োপসি
- ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য রক্ত দেয়া যাবে
- ব্লাড ডোনেশন এবং ব্লাড ট্রান্সফিউসন
- টুথ ড্রিলিং, টুথ এক্সট্রাকসন, টুথ ক্লিনিং
- এনডোসকপি ডায়াগনস্টিক বা অন্যান্য ইনটারভেনশন
- আরটেরিওগ্রাফির জন্য হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গের জন্য ক্যাথেটার
সাবেক অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান
মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা