২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

শীতে শুকনো কাশি

-

শীত এলেই অনেকেই কাশিতে আক্রান্ত হন। কাশির সাথে কফ বের হয় খুবই কম, হয় না বললেই চলে। কিন্তু এ সময়ের কাশি বেশ বিরক্তির উদ্রেক করে। কাশির কারণে ঘুমানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। গলার মধ্যে অস্বস্তি লাগে। কাশতে কাশতে গলায় ব্যথা হয়ে যায়। শীতের দিনে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে, রাস্তাঘাটে বাড়ে ধুলাবালি। এসব কারণে কাশি বাড়ে। এ ছাড়া ধূমপায়ী ও হাঁপানি আক্রান্তদের শীতে কাশির তীব্রতা বাড়ে। এ ছাড়া শিশুরা ব্রঙ্কিওলাইটিস ও বয়স্করা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কিয়েকটেসিসে আক্রান্ত হলেও কাশি বাড়ে। এসব ক্ষেত্রে কাশির সাথে কফ থাকে। জ্বরও থাকতে পারে। এ সময় দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
সাধারণ কাশির চিকিৎসা আপনিই করতে পারেন। এ ধরনের কাশি একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। ঠাণ্ডা লাগলে কাশি বাড়ে। তাই ঠাণ্ডা পরিহার করতে হবে। বাইরে বেরুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম কাপড় পরুন। মাথায় টুপি বা মাফলার পরতে ভুলবেন না। একটি মোটা জামা না পরে একাধিক জামা পরুন। এতে দেহ থেকে তাপ কম পরিবাহিত হবে। ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন। বাইরে গেলে মাস্ক পরে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। খুব ভোরে বা বেলা পড়ে গেলে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার খাবেন না। কুসুম গরম পানি পান করতে পারলে ভালো হয়।
কাশি হয়ে গেলে কুসুম গরম পানি আদার রস, তুলসী পাতার রস, লং, লেবুর রস, মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যাবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা মধু বাদ দিন। কয়েক দিন বিশ্রাম নিলেও কিন্তু কাশি কমে যায়। কাশি বেশি হলে ব্রঙ্কোডায়লেটর (ব্রডিল), এন্টিহিস্টামিন, কফ সাপ্রেসেন্ট ওষুধ সেবন করলে কাশি তাড়াতাড়ি ভালো হয়। এ ধরনের কাশিতে সাধারণত এন্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। তবে জ্বর এলে, শ্বাসকষ্ট বেশি হলে, লালচে বা হলুদ রঙের কফ, কাশির সাথে রক্ত পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শমতো এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হতে পারে। ধূমপান বাদ দিন। কাশি প্রতিরোধ বা এর তীব্রতা কমানোর জন্য নিউমোনিয়া (তিন বছর পরপর) ও ফ্লুর (প্রতি বছর) টিকা বয়স্করা নিতে পারেন। বাংলাদেশের সর্বত্র এ টিকা পাওয়া যায়।
শীতের শুরুতে হাঁপানি আক্রান্তদের কাশি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়। তাই এন্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হয়। তবে ভাইরাস দিয়েও কোনো কোনো সময় এদের কাশি হতে পারে। এতে এন্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাশির তীব্রতা অনুযায়ী স্টেরয়েড ইনহেলার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং সালবিউটামল ইনহেলার ঘনঘন নেয়ার প্রয়োজন হয়। কাশি দীর্ঘমেয়াদি হলে, ঘুম ভেঙে গেলে, কাশতে কাশতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
লেখক : নিউরোলজিস্ট
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স (নিনস)


আরো সংবাদ



premium cement
পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতের আলোচনা সভা সংবিধান মেনে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান হয়নি : গোলাম পরওয়ার ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার তোমার যা করা দরকার, করো : নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প বাবা-ছেলেকে হত্যার ২৫ বছর পর বিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন নোমান-সাজিদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান নারীর প্রতি সহিংসতা সামজিক ব্যাধি : উপদেষ্টা শারমীন ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ নেয়া ঠিক হবে না ইরানের : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সৈয়দপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নয়া দিগন্তের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ইসরাইলি হামলায় ২ ইরানি সৈন্য নিহত কাউখালীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সকল