হৃদরোগ প্রতিরোধে টিপস
- ডা: নূরে আলম সিদ্দিক
- ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০০:০৫
১. কমিয়ে ফেলুন ট্রাইগ্লিসারাইড : আমরা কোলেস্টেরল নিয়ে বেশ মাথা ঘামাই, কিন্তু আমাদের অগোচরে নিভৃতে হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করে এটি। এটি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। রক্তে এর মাত্রা ১৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের মধ্যে রাখুন। এর মাত্রা ৩০-৫০ শতাংশ কমানো যায় শুধু চর্বিযুক্ত খাবার কম খেয়ে ও ওজন কমিয়ে।
২. বাদাম খান বেশি : বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এটি ধমনির প্রদাহ প্রতিরোধ করে হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম এগুলো কোলেস্টেরলের শোষণের হার কমায়। শরীরের খারাপ চর্বি এলডিএলের মাত্রা কমায় এগুলো। প্রতিদিন দু-তিন গ্রাম বাদাম ৫-১৫ শতাংশ এলডিএল কমায়।
৩. স্ট্রেস বা মানসিক চাপ আর না : এর ফলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন বাড়ে। এগুলো হার্টের ক্ষতি করে। তাই স্ট্রেসকে দূরে রাখুন। প্রাণবন্ত, হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
৪. ব্যায়াম হোক নিয়মিত : প্রতিদিন ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। না হলে সপ্তাহে পাঁচ দিন আধা ঘণ্টা করে ব্যায়াম করুন। কাজের চাপে সময় বের করতে না পারলে অফিসে যাওয়া-আসার পথে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা হাঁটুন।
৫. সুসম্পর্ক হোক সবার সাথে : সম্পর্ক খারাপ হলে মানসিক চাপ বাড়ে। ক্ষতি হয় হৃৎপিণ্ডের। তাই কারো সাথে রাগারাগি নয়। ১৫ হাজার বিবাহিত নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে আমেরিকার গবেষণায় দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্কের কারণে তারা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে কম আক্রান্ত হন।
৬. ধূমপান ও অ্যালকোহলকে না বলুন : এদের কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ধূমপান ছাড়–ন এখনই। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান ছাড়ার এক বছরের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। ১০ বছর পর এ ঝুঁঁকি স্বাভাবিক মানুষের মতো হয়ে আসে।
৭. কোমরের মাপ নিয়ন্ত্রণে থাক : কোমরের মাপ মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩৫ এর বেশি ও পুরুষের ক্ষেত্রে ৪০ এর বেশি হলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের ঝুঁঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ।
৮. লবণ কম খান : লবণ বেশি খেলে উচ্চ রক্তচাপ বাড়ে। দিনে সব মিলিয়ে এক চামচের বেশি লবণ খাবেন না। পাতে লবণ তো খাবেনই না। রেস্টুরেন্টের সস, সালাদ কম খান। এতে লবণ বেশি থাকে।
৯. ঘুম হোক পর্যাপ্ত : রাত জেগে ফেসবুক, টিভি দেখা কমিয়ে দিন। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৭ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। শরীরে কর্টিসল হরমোন বেশি থাকে। এতে করে রক্তনালীতে ব্লক হতে থাকে। এমনকি মারা যাওয়ার হার অন্যদের চেয়ে দ্বিগুণ।
১০. ওজন কমান : বেশি ওজন হলে সমস্যার শেষ নেই। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ দেখা দেয় অল্প বয়সেই। তাই ওজনের ব্যাপারে সচেতন হোন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা