২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

দেশে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক রোগ শনাক্তকরণ কেন্দ্র চালু

-

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) অধীনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এই কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশের আগে ভারত, চীন, মিসর, গুয়াতেমালা, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও থাইল্যান্ডে এই কেন্দ্র চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সিডিসির এটি অষ্টম বৈশ্বিক রোগ শনাক্তকরণ (জিডিডি) কেন্দ্র। যোগ্যতার শর্ত পূরণ করা আইইডিসিআরকে জিডিডি কেন্দ্রের জন্য নির্বাচিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর ফলে রোগ পর্যবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে দেশ নতুন পর্বে প্রবেশ করল। আইইডিসিআরে স্থাপিত কেন্দ্রটি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেয়া রোগগুলো দ্রুত শনাক্তকরণে কাজ করবে।
গত ৪০ বছরে স্বাস্থ্য খাতে যুগান্তকারী সফলতা অর্জন-ল্যানসেট
গত ৪০ বছরে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে দারুণ অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। গেল বছর স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে এই অগ্রগতিকে বিশ্ব স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় রহস্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে এই গবেষণা কাজের সহতত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুশতাক চৌধুরী। চীন, ভারত, পাকিস্তান ও আফ্রিকার পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নিয়ে এ ধরনের গবেষণা হলো। ১৯৮০ সালের পর বাংলাদেশে প্রসূতি মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশ কমেছে যেখানে শিশু মৃত্যুর হার ১৯৯০ সালের পর প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। গড় আয়ু বেড়ে ৬৮ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে, যা ভারতের ৬৭ বছর ও পাকিস্তানের ৬৬ বছরের চেয়ে বেশি। এর মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশের ধারে কাছেও কেউ নেই। গ্রাম পর্যায়ে বিপুলসংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত করায় বাংলাদেশে যক্ষ্মা নিরাময়ের হার ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ হারগুলোর মধ্যে অন্যতম। জন্মনিরোধক ওষুধের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে ঘরে ঘরে পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নারী স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করায় জন্মনিরোধকের ব্যবহার (৬২ শতাংশ) অনেক বেড়েছে।

লেখক : মেডিক্যাল অফিসার, সিভিল সার্জন অফিস, গোপালগঞ্জ।

 


আরো সংবাদ



premium cement