২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

আবার নিপাহ ভাইরাস সতর্ক হন

আবার নিপাহ ভাইরাস সতর্ক হন -

জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ৮ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয়জন মারা গেছে। সম্প্রতি রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, নওগাঁ, নাটোর ও গাইবান্ধা জেলায় ছয়জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেছেন। রাজশাহী এবং রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তারা মারা যান। আর ঢাকায় আক্রান্ত হন দু’জন, যার মধ্যে একটি শিশু মারা গেছে। সম্প্রতি ঢাকায় আট বছর বয়সী ওই শিশু এ ভাইরাস সংক্রমণে মারা যায়। গেল বছরও বেশ কয়েকজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রমণে মারা গেছেন।
১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ায় সর্বপ্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এ সময় ২৫৭ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ১০৫ জন। মালেশিয়ার কেমপুং নিপাহ শহরে এ ভাইরাস প্রথম সংক্রমিত হয় বলে এর নামানুসারে নিপাহ ভাইরাস রাখা হয়।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে ২০০১ সালে। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত মেহেরপুর, নওগাঁ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ ও রংপুরে মানব দেহে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। গেল বছর উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রথম এ ভাইরাস ধরা পড়ে। পরে কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও দিনাজপুরেও সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। ২৪ জন আক্রান্ত হয়ে ১৭ জন মারা যায়। এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ফরিদপুরে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে জানা গেছে অসতর্কভাবে অন্য রোগীর সেবা করার কারণে সংক্রমণের হার বেড়েছে। এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় আড়াই শ’ জনের মধ্যে দেড় শ’ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মারা যাওয়ার হার ৭৫ ভাগের বেশি। তবে এটা নিয়ে ভয় পেলে চলবে না। সচেতন হতে হবে।
নিপাহ ভাইরাস হেনিপাহ ভাইরাস গোত্রের। এ গোত্রের আর একটি ভাইরাস হলো হেনড্রা ভাইরাস। হেনড্রা ভাইরাস ১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে শনাক্ত করা হয়। এ সময় এ ভাইরাসের সংক্রমণে ৩০টি ঘোড়া মারা যায়। এ ভাইরাস শুধু ঘোড়াকে সংক্রমিত করলেও মানুষকে সংক্রমিত করার খবর পাওয়া যায়নি। নিপা ভাইরাস ছড়ায় মূলত বাদুড়ের মাধ্যমে।

 


আরো সংবাদ



premium cement