২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
জরুরি চিকিৎসা

শীতে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস

-

শীতকাল এলেই দেখা যায় অনেকেই ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। এটা কিছুতেই ভালো হতে চায় না। সর্দি-কাশির সাথে থাকে হাঁচি। একবার হাঁচি শুরু হলে যেন থামতেই চায় না। নাক দিয়ে প্রচুর পানি পড়ে। ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন হলে নাক দিয়ে হলুদাভ সর্দিও পড়তে পারে। মাঝে মধ্যে নাক বন্ধ থাকে। নাক বন্ধ থাকার কারণে নাক দিয়ে কোনো কিছুর গন্ধ পাওয়া যায় না। রাতে শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখ লালচে হতে পারে। বছরের অন্যান্য সময়ে এ সমস্যাগুলো কিন্তু এতটা প্রকট আকারে দেখা যায় না যতটা না শীতকালে দেখা যায়। ওপরের সমস্যাগুলো সাধারণত অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে দেখা যায়। এটা এক ধরনের অ্যালার্জি। ধুলাবালি, ফুলের পরাগরেণু, হাউজ মাইট, ঠাণ্ডা বাতাস ইত্যাদি এসব সমস্যা দেখা দেয়। এগুলোকে বলে অ্যালার্জেন। এ রোগে চিকিৎসার একমাত্র ভালো উপায় হলো রোগ প্রতিরোধ করা তথা যে কারণে এটি বেড়ে যায় তা পরিহার করা। এ জন্য প্রথমেই শনাক্ত করুন কিসে আপনার হাঁচি-কাশি বাড়িয়ে দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় নাক দিয়ে ধুলাবালি ঢুকলে বেশি হাঁচি হচ্ছে। কাজেই তাকে ধুলাবালি পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাক্স ব্যবহার করতে হবে। ঘরকে ধুলাবালুমুক্ত রাখুন। বাসায় কার্পেট ব্যবহার করবেন না, শোয়ার ঘরে তো নয়ই। বিছানায় লোমযুক্ত চাদর, কাথা, লেপ, কম্বল ও বালিশ ব্যবহার করবেন না। বিছানা অন্য কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন যেন ধুলাবালি না পড়ে। মাইট রাইনাইটিসের অন্যতম কারণ। এগুলো মেরে ফেলার জন্য সপ্তাহে একদিন চাদর, বালিশ ধুয়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা রোদে শুকাতে হবে। এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার করলে ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। সকাল-বিকেল কুসুম গরম পানি বা নরমাল স্যালাইন দিয়ে নাক পরিষ্কার করবেন। এমনকি পানিতে লবণ গুলিয়েও তা দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে অ্যালার্জেন সহজেই শরীরের বাইরে চলে যাবে ও নাকের অতিরিক্ত ক্ষরণ কমিয়ে আপনার সমস্যা দূর করবে। কুসুম গরম পানি পান করুন। ঠাণ্ডা লাগাবেন না। বাইরে বেরুলে শীতের কাপড় পরুন। যে খাবারে অ্যালার্জি আছে তা পরিহার করতে হবে। ফ্রিজের খাবার যতটা সম্ভব এগিয়ে চলুন। অনেকের ক্ষেত্রে নন-অ্যালার্জিক রাইনাইটস দেখা যায়। ধূমপান করলে এ সমস্যা বেশি হয়। তাই নিজে তো ধূমপান করবেনই না কেউ ধূমপান করলে সে স্থান থেকে সরে আসুন। রাইনাইটিসের চিকিৎসা হিসেবে অ্যান্টিহিসটামিন যেমন : লোরাটিডিন, ডেসলোরাটিডিন, ফিক্সোফেনাডিন ও স্টেরয়েড় জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। বন্ধ নাক খোলার জন্য ন্যাজাল ডিকনজেসটেন্ট যেমন : জাইলোমেটাজোলিন নাকের ড্রপ দিতে হবে। সেই সাথে নাক দিয়ে গরম পানি ভাপ টানতে হবে। আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে আছে লেজার টারবিনেকটমি অপারেশন। বেশি সমস্যা দেখা দিলে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।


আরো সংবাদ



premium cement
ফেনীতে নয়া দিগন্তের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ : সাবেক ২০ মন্ত্রী-উপদেষ্টাকে হাজিরের নির্দেশ বকশীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগের জন্য অভিযান : পরিবেশ উপদেষ্টা কোর্ট থেকে লুকিয়ে নিয়ে কারাগারে নয়া দিগন্ত পড়তাম : রিজভী খালেদা জিয়ার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পেছাল বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রী পারাপার বন্ধ শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত আমার প্রিয় সংবাদপত্র নয়া দিগন্ত : সেলিমা রহমান আমার উপদেষ্টা হওয়ার পেছনে নয়া দিগন্তের অবদান আছে : আ ফ ম খালিদ হোসেন

সকল