শিশুর ক্যান্সার

অনেকেরই ধারণা ক্যান্সার শুধু বয়স্কদেরই হয়। আসলে বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও ক্যান্সার হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর সারা বিশে^ শূন্য থেকে ১৯ বছরের তিন লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তবে শিশুদের ক্যান্সারের কারণ ও ধরন অনেকটাই আলাদা। শিশুদের ক্যান্সারের ৭৫ থেকে ৯০ ভাগেরই কারণ অজানা। মিউটেশন বা জিনগত পরিবর্তন ৫-১৫ শতাংশ এবং পরিবেশগত কারণ ৫-১০ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী। তবে লাইফ স্টাইল বা পরিবেশের সাথে সম্পর্ক ততটা জোরালো নয়। পরিবেশগত কারণের মধ্যে রেডিয়েশন বা বিকিরণ এবং বড়দের ধূমপান অন্যতম। খাদ্যে ভেজালও কারণ হতে পারে।
শিশুদের ক্যান্সার
লিউকেমিয়া বা রক্তকোষের ক্যান্সার
ব্রেইন বা মস্তিষ্কের টিউমার
উইমস টিউমার বা কিডনির এক ধরনের ক্যান্সার
র্যাবডোমায়োসারকোমা বা মাংসপেশির ক্যান্সার
রেটিনেব্লাসটোমা বা চোখের রেটিনার ক্যান্সার
অসটিওসারকোমা বা হাড়ের ক্যান্সার
ইউয়িংস সারকোমা
লিম্ফোমা ইত্যাদি
শিশুর ক্যান্সারে করণীয় কী?
বড়দের ক্যান্সারের মতো ছোটদের ক্যান্সারের প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে খুব বেশি কিছু করণীয় নেই। সূচনায় সঠিক শণাক্তকরণ এবং কার্যকরী চিকিৎসায় বেশির ভাগ ক্যান্সারই নিরাময় সম্ভব হতে পারে। লিউকেমিয়া ও লিম্ফোমা চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ও টার্গেটেড থেরাপির দরকার হতে পারে। অন্যান্য ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অবস্থাভেদে সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন অর্থাৎ পেডিয়েট্রিক সার্জন, প্যাথলজিস্ট, অনকোলজিস্ট, প্রয়োজনে হেমাটোলজিস্ট ও প্রশিক্ষিত নার্সদের টিমওয়ার্ক। অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি। শিশুদের যেকোনো উপসর্গকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং দ্রুত বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, রেডিওথেরাপি বিভাগ
শেরবাংলা মেডিক্যাল কলেজ, বরিশাল