২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

করোনা শনাক্তের তিন পরীক্ষা

করোনা শনাক্তের তিন পরীক্ষা - সংগৃহীত

করোনাভাইরাস শনাক্তে মোটাদাগে এখন পর্যন্ত তিন ধরনের পরীক্ষার প্রচলন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে কারও মাঝে ভাইরাসটি সক্রিয় আছে কি না তা এবং অন্য পরীক্ষাটিতে কেউ সংক্রমিত হয়েছিলেন কি না তা জানা যায়, খবর এপি। এ তিন ধরনের পরীক্ষা কীভাবে করে চলুন তা জেনে নেয়া যাক-

জেনেটিক পরীক্ষা
বেশির ভাগ পরীক্ষায় ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের জিনগত উপাদানের উপস্থিতি আছে কি না তা খোঁজা হয়। এ জন্য একজন পেশাদার চিকিৎসক বা টেকনোলজিস্টের মাধ্যমে নাকের ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। করোনা শনাক্তের জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি বলে এক ধরে নেয়া হয়। যদিও সবসময় নিখুঁত ফলাফল পাওয়া যায় না। এ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত করা যায়।

এ পরীক্ষা করতে ল্যাবগুলোতে সাধারণত কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে এবং ফলাফল পেতে কমপক্ষে এক দিন লাগে। যদিও বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় ১৫ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে। জেনেটিক পরীক্ষায় নাকের ভেতরের নমুনার পরিবর্তে মুখের লালাও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ শনাক্তে রিয়েল-টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমার্স চেইন রিয়েকশন (আরটি-পিসিআর) যন্ত্রে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

অ্যান্টিজেন পরীক্ষা
অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হলো এক নতুন ধরনের পরীক্ষা যা করোনাভাইরাসের উপস্থিতি খোঁজার চেয়ে ভাইরাসের উপরিস্থলের প্রোটিনের উপস্থিতির সন্ধান করা হয়। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা মাত্রই বাজারে এসেছে এবং বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন এটি পরীক্ষা বাড়াতে ও দ্রুত ফলাফল দিতে সহায়ক হবে।

জেনেটিক পরীক্ষার মতো অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অতটা নির্ভুল নয়। তবে তা সস্তা, দ্রুত ও পরীক্ষাগারের খুব বেশি সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের পরীক্ষার জন্যও একজন পেশাদার চিকিৎসকের মাধ্যমে নাকের ভেতরের নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। সার্স-কোভ-২ সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে যখন ভাইরাসের উপস্থিতি সাধারণত বেশি হয় তখন এ পরীক্ষা করা হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কোভিড-১৯ শনাক্ত করতে সোমবার বাংলাদেশ সরকার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

অ্যান্টিবডি পরীক্ষা
অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ক্ষেত্রে রোগীদের রক্তের নমুনায় মানবদেহে সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পারে এমন প্রোটিনগুলোর সন্ধান করা হয়। কোনো ব্যক্তির আগে কোভিড-১৯ ছিল কি না তার একটি চিহ্ন হিসেবে ধরা হয় অ্যান্টিবডিগুলোকে। বিজ্ঞানীরা এখনও জানেন না যে অ্যান্টিবডিগুলো মানুষকে আরেকবার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে কি না বা সে সুরক্ষা কত দিন স্থায়ী হতে পারে।

অ্যান্টিবডি পরীক্ষাগুলোর বেশির ভাগই জনসংখ্যার কত শতাংশ সংক্রামিত হয়েছিল তা নির্ণয়ের জন্য দরকারি বলে মনে করেন গবেষকরা। সূত্র: ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল