২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ডায়াবেটিস থেকে চোখের সমস্যা

-

টাইপ-১ এবং টাইপ-২ উভয় প্রকার ডায়াবেটিসেই চোখের রেটিনার রক্তবহনকারী ছোট ছোট রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসব রক্তনালী রক্ত বেশি পরিমাণ গ্লুকোজ বা শর্করা অথবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারে। রক্তনালীর এই পরিবর্তিত স্থান যদি ফেটে যায় তবে রেটিনার মধ্যে রক্তক্ষরণ হয়। এই রক্তক্ষরণ এসব অসুস্থ স্থান থেকে ঘন পানি জাতীয় পদার্থ চুইয়ে চুইয়ে বের হয়ে আসতে পারে। ফলে নিঃসরিত পানির জন্য রেটিনা স্ফীত ও পুরু হয়ে যায়। ডায়াবেটিসে চোখ আক্রান্ত হওয়ার এই অবস্থায় রোগী হয়তো জানতেই পারে না যে সে রেটিনোপ্যাথিতে ভুগছে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই অবস্থায় রোগীর দৃষ্টিশক্তির কোনো অবনতি হয় না।
Ñ যখন দেখা যায়, ডায়াবেটিসের জন্য চোখের রক্তনালী প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এর নাম নন-প্রলিফারেটিভ রেটিনোপ্যাথি।
Ñ যদিও নন-প্রলিফারেটিভ রেটিনোপ্যাথি কখনো কখনো সম্পূর্ণ অন্ধত্বের কারণ হয়, তবে এই অসুবিধা শুরু হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচ থেকে ২০ ভাগ ডায়াবেটিস রোগীকে আইনগত অন্ধত্ব (লিগ্যালি ব্লাইন্ড) বরণ করতে হয়। রেটিনার স্ফীতি সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ার সাথে সাথে রক্তনালী ক্ষতিসাধন প্রসার লাভ করে এই অন্ধত্ব ঘটনায়।
Ñ টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন যখন তার ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয় হয় তখন থেকেই মোটামুটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রার রেটিনোপ্যাথিতে ভোগেন।
Ñ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি গর্ভাবস্থায় দ্রুতগতিতে প্রসার লাভ করে। তাই এদের নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করানো একান্ত প্রয়োজন। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ঝুঁকিগুলোর মধ্যে দেখা যায়, রক্তে উচ্চমাত্রায় শর্করা (গ্লুকোজ) এবং উচ্চ রক্তচাপ উভয়েই রেটিনার রক্তপ্রবাহকারী ছোট ছোট রক্তনালীর ক্ষতিসাধন করে। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে দৃষ্টি কিছুটা ঝাপসা অথবা একেবারেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে পারে।
লেখক : চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, বারডেম

 


আরো সংবাদ



premium cement