০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`

সন্তানহারা চিকিৎসক দম্পত্তি প্রতিষ্ঠা করলেন ক্যানসার ফাউন্ডেশন

বক্তব্য রাখছেন ডা. সায়েবা আক্তার। - ছবি : নয়া দিগন্ত।

ক্যান্সারে মৃত সন্তানের চিকিৎসা তহবিলের অব্যবহৃত অর্থ দিয়ে অসহায় রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যানসার ফাউন্ডেশন।’ ২২ বছর আগে চিকিৎসক দম্পতির গড়ে তোলা ফাউন্ডেশনটি তাদের ছেলের চিকিৎসার টাকা (ব্যাংকে রাখা এফডিআরকৃত অর্থের লভ্যাংশ), সদস্যদের চাঁদা, অনুদান এবং যাকাতের অর্থে প্রতিষ্ঠানটি চলছে। বিশ্ব ক্যানসার দিবস-২০২৫ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. নওফেল ইসলাম বলেন, ‘ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে এই রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি নিয়েই এ প্রতিষ্ঠানের পথচলা। প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়েছে ২০০৩ সালের ২১ মার্চ। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার ৪২০ জন রোগীকে দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা সেবা দিতে সহায়তা করেছে।’

অধ্যাপক নওফেল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি হাসপাতালের সুবিধা সম্বলিত একটি ক্যান্সার হোম পরিচালনা করছে। সেখানে রোগীদের থাকা, নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া এবং যাদের প্রতিদিন হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে হয় তাদের দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার হোমে থাকার ব্যবস্থা করা, ক্যান্সার রোগীদের কাউন্সিলিং, নিয়মিত নার্স ও চিকিৎসকের মাধ্যমে ফলো-আপ, নাস্তাসহ তিন বেলা নিয়ম মাফিক খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও ‘সায়েবাস মেথডের’ আবিষ্কারক অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেকগুলো ক্যান্সার হাসপাতাল আছে। কিন্তু একটাতেও রেডিওলজি মেশিন ভালো নেই, সবখানে সিন্ডিকেট।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা, গাইনি ক্যান্সার সার্জিকেল অনকোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. বেগম রোকেয়া আনোয়ার, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুস সালাম প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও ইনসাফ বারাকা অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় দেশে ক্যান্সারের ভয়াবহতা ও ক্যানসার চিকিৎসার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়। বক্তারা বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসায় সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ জরুরি। সব পর্যায় থেকে ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধি, ক্যান্সারের লক্ষণসমূহের ব্যাপকভাবে পরিচিতি, ক্যন্সার স্ক্রিনিং, রোগ নির্ণয় সহজলভ্যকরণ, উপযুক্ত রোগ নির্ণয়কারী জনশক্তি (প্যাথলজিষ্ট) তৈরি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যান্সার পরিসংখ্যান, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, নার্স, রেডিওফিজিসিস্ট ও অন্যান্য জনবলের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement