শিশুর পেটে গ্যাস
- ডা. মাহাবুবুর রহমান
- ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নবজাতকের পেটে গ্যাস জমে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়। মুখে নিপল ঠিকমতো না ধরালে, ফাঁকা থাকার কারণে দুধের সঙ্গে বাতাস পেটে ঢুকে পড়ে। ফিডারে খাওয়ালে এবং খাওয়ানোর সময় বেবি বাঁকা-ত্যাড়া হয়ে থাকলে এ আশঙ্কা আরো বেশি। ঢোক গেলার সময় এবং অনেকক্ষণ ধরে কান্না করতে থাকলেও শিশুর পেটে বাতাস ঢুকে পড়ে। অধিকন্তু দুধে ল্যাকটোস থাকে, যা ভেঙে গ্যাস তৈরি হয়। ফর্মুলা (কৌটার) দুধের প্রোটিন সহ্য না হলেও পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
ছয় মাস বয়সের পর বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি নানা ধরনের খাবার প্রথমবারের মতো খাওয়া শুরু করে। এতেও অনেক সময় পেটে গ্যাস হতে পারে। কিছু কিছু সবজিতে পেটে গ্যাস হয়। যেমন- ব্রকলি ও বাঁধাকপি। খিচুড়িতে শাকের পরিমাণ বেশি হলে গ্যাস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আবার ডালে, এমনকি সিদ্ধ ডিমেও গ্যাস হতে পারে। অতিরিক্ত জুস খাওয়ানোর কারণে এবং পর্যাপ্ত পানি না পান করানোয় শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এতে অনেক সময় পেটে গ্যাস ও ব্যথা হয়।
বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর অবস্থান ও নিপলের দিকে খেয়াল রাখুন, যেন শিশুর ঘাড় সামনে বা পেছনে বেঁকে না থাকে এবং নিপল যেন মুখে ঠিকভাবে বসানো হয়। অর্থাৎ বাতাস যেন না ঢুকতে পারে। দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মাথার দিকটা উঁচু করে ধরুন, যাতে দুধ সহজে এবং দ্রুত তার পেটে যেতে পারে। দুধ খাওয়ানোর পর উপুড় করে ঘাড়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট হাঁটুন। শিশুর পিঠের ওপর আস্তে আস্তে চাপড় দিন। একে বলে ঢেঁকুর তোলা। ক্ষুধায় কান্না শুরু করার আগেই শিশুকে খেতে দিন। কান্না করলে এমনিতেই পেটে বাতাস যায়। আবার ক্ষুধার কারণে তাড়াতাড়ি খেতে চায় বলে বেশি বেশি ঢোক গিলতে থাকে এবং সেই সঙ্গে বাতাসও।
শিশুকে যতটা সম্ভব শান্ত পরিবেশে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। শিশুকে চিৎ করে শুয়ে পা দুটো দুহাতে ধরে আস্তে আস্তে সাইকেলে প্যাডেল করার মতো নাড়ুন। দিনে বেশ কয়েকবার করুন। অনেক ক্ষেত্রে এটি গ্যাস পেট থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।
একইভাবে শুয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে পেট মেসেজ করা যেতে পারে। আবার বেবিকে হাঁটুর ওপর পেটে ভর দিয়ে শুয়ে দিয়ে তার পিঠেও মেসেজ করা যেতে পারে। খেয়াল রাখুন, শিশুর মাথা যেন বেশি ঝুঁকে না যায়। আরেক হাতে শিশুকে সাপোর্ট দিয়ে রাখুন। অনেক সময় সিমেথিকন ড্রপ খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। তবে তা খাওয়াতে হবে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে।
গ্যাসের সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে তার সমাধান জরুরি। ছয় মাস বয়সের পর বাড়তি খাবার দেওয়ার সময় যে খাবারে গ্যাস হতে পারে, তার পরিমাণ কমিয়ে দিন আর ভাত বা খিচুড়ি যেন শক্ত না হয়, একটু নরম করে দিন। ফলমূল নরম টুকরো করে দিন বা জুস করে খাওয়ান। এতে হজমের সুবিধা হবে। শিশুর পেটে গ্যাস তৈরির প্রবণতাও কমে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা