২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জীবপ্রযুক্তিতে বৈষম্য ও এনআইবি’র ডিজি নিয়োগে জটিলতার প্রতিবাদ

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটস-এর সংবাদ সম্মেলন - ছবি : নয়া দিগন্ত

বায়োটেকনোলজিস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানের বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানানোর লক্ষ্যে এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) ডিজি হিসেবে তার নিয়োগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটস (বিএবিজি)। এ সময় জীবপ্রযুক্তিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি জানানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উম্মে সালমা যোহরা, টেকনোওয়ার্থ অ্যাসোসিয়েটসের জেনারেল ম্যানেজার আ.ন.ম তারিকুল ইসলাম, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অজয় রায়, বিইউএইচএস’র সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান, বিএবিজি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, রাজিব শাহরিয়ারসহ আরো অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির ডিজি হিসেবে দ্রুত দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, দেশে ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক বিভাগ আছে। সেসব বিভাগ থেকে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার ২০০ স্নাতক বের হচ্ছেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে দক্ষ জীবপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে তাদেরকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ কোনোটাই নেই।

এর পেছনে বক্তারা এত দিনের নেতৃত্বের সঙ্কটকে দায়ী করেন এবং এই প্রথমবারের মতো দেশের কেন্দ্রীয় জীবপ্রযুক্তি সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি)’ ডিজি হিসেবে বায়োটেকনোলজি থেকে পড়াশোনা করে আসা, এই বিষয়ে গবেষণায় অভিজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানের নিয়োগকে স্বাগত জানান এবং জীবপ্রযুক্তির বিকাশে তার অবদানকে স্মরণ করেন।

ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব জানান, ‘অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তি প্রসারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি জীবপ্রযুক্তিবিদদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটসের (বিএবিজি) সভাপতির দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়ন কমিটিতে থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের একাধিক কমিটিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। এর বাইরেও তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি বিষয়ের সিলেবাস প্রণয়ন করেছেন। স্বাস্থ্যসেবায় করোনা মহামারির সময় জীবপ্রযুক্তিবিদদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। বিসিএস পরীক্ষায় বায়োটেকনোলজিকে অন্তর্ভুক্তকরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান, যা ছিল বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের প্রাণের দাবি। জীবপ্রযুক্তিবিদদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে যে উদ্যোগ তৈরি হয়েছে তার প্রাণ ও চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে তার নেতৃত্বাধীন সংগঠন।’

তিনি আরো বলেন, ‘একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে তাকে ছাত্ররা পাশে পেয়েছে চব্বিশের গনঅভ্যুত্থানে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ’ খানেক আন্দোলনকারী ছাত্রকে যখন পুলিশ আর সন্ত্রাসীরা হামলার মুখোমুখি করে, তখন তিনি ছাত্রদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেন। ছাত্রদের এবং দেশের পাশে থাকার পরেও তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে তার নিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে এই মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের সব বায়োটেকনোলজিস্টের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

এ সময় বক্তারা অনতিবিলম্বে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান যোগদান করতে দেয়া না হলে কর্মবিরতি, মানববন্ধনসহ অন্যান্য কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

দেশের জীবপ্রযুক্তি গবেষণা ও কর্ম পরিধিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে সংবাদ সম্মেলন থেকে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনআইবির ডিজি হিসেবে যোগদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।

প্রেস রিলিজ


আরো সংবাদ



premium cement