ইতালির কাছে হেরে নেশন্স লিগ শুরু ফ্রান্সের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১১
ম্যাচ শুরু হতেই ইতালির জালে বল। প্যারিসের গ্যালারিতে সে কী উল্লাস! তবে তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ফরাসিদের। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইতালি।ম্যাচটা নিয়ে নেয় নিজেদের দখলে৷ শেষ পর্যন্ত বড় জয়ে নেশন্স লিগের নতুন আসরে শুভসূচনা করলো তারা।
প্যারিসে শুক্রবার রাতে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ইতালির মুখোমুখি হয় ফ্রান্স৷ যেখানে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইতালি। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় পেল দলটা।
অথচ ম্যাচের শুরুতে মনে হচ্ছিলো, হয়তো দিনটা ফ্রান্সেরই হতে চললো। গা গরম হবার আগেই ইতালির জালে গোল দেয় ফ্রান্স। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম মিনিটেই দককে এগিয়ে নেন বারকোলা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে যা তার প্রথম গোল।
ইতালির ডিফেন্ডার জিওভান্নি দি লরেন্সোর সামনে থেকে ছোঁ মেরে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন বারকোলা। এরপর ডান পায়ের শটে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ফ্রান্সের ইতিহাসে এবং নেশন্স লিগে যা দ্রুততম গোল (১৩ সেকেন্ড)।
নেশন্স লিগে এতদিন রেকর্ডটি ছিল সুইজারল্যান্ডের হারিস সেফেরোভিচের, ২০২২ সালে পর্তুগালের বিপক্ষে ৫৭ সেকেন্ডে গোলটি করেন তিনি। আর ফ্রান্সের জয়ে দ্রুততম গোল ছিল বের্নাদ লাকুম্বরের। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষেই ৩৭ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি।
গোল হজম করেও ভড়কে যায়নি ইতালি। ষষ্ঠ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত তারা। সতীর্থের হেড পাসে কাছ থেকে ডিফেন্ডার ফ্রাত্তেসির হেড ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বলে মাতেও রেতেগির হেড উড়ে যায় ওপর দিয়ে।
পরের মিনিটে অবশ্য সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। তবে কিলিয়ান এমবাপ্পের নিচু হয়ে আসা শট ঠেকিয়ে দেন দোন্নারুমা। অবশ্য পুরো ম্যাচেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় এই তারকা।
এদিকে ৩০ মিনিটে সমতায় ফেরে ইতালি। সান্দ্রো টোনালির ফ্লিকে বল পেয়ে দারুণ ভলিতে জাল খুঁজে নেন দিমারকো। প্রথম গোলের দেখা পায় ইতালি। এরপর ৩৯তম মিনিটে বারকোলা আরো একটা সুযোগ মিস করলে ১-১ সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে একচেটিয়া দাপট দেখায় ইতালি। শুরুতেই দুটো সুযোগ মিস হলেও ৫০তম মিনিটে দারুণ আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় ইতালি। রেতেগির পাসে ছুটে গিয়ে বাঁ পায়ে শট নিয়ে গোল করেন ফ্রাত্তেসি। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইতালি।
এরপর দুই দল আরো একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে। তবে এরই মাঝে তৃতীয় গোলের দেখাও পেয়ে যায় ইতালি। ৭৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় তারা। এগিয়ে যায় জয়ের পথে। সতীর্থের পাস ধরে ফরাসি গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন রাসপাদোরি।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ৩-১ ব্যবধান ধরে রেখে জয় পায় ইতালি। ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে তিন গোল হজম করল ফ্রান্স। আর ঘরের মাঠে ইতালির বিপক্ষে ৭০ বছর পর হারলো ফ্রান্স। সবশেষ হেরেছিল ১৯৫৪ সালে এক প্রীতি ম্যাচে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা