১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ইউরোর ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

ইউরোর ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড - ছবি : সংগৃহীত

নামে-ভারে শক্তিশালী দল হলেও এবারের ইউরোতে ইংলিশদের খেলায় ছিল না তেমন সুর-তাল, ছন্দ৷ ফলে এবারের শিরোপার লড়াই থেকে থ্রি লায়ন্সদের খানিকটা বাইরেই রাখছিল অনেকে। তবে সেই দলটাই কিনা উঠে এলো ফাইনালে! শিরোপা জেতার শেষ ধাপে!

ইউরোর ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপীয় ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী এই আসরের ফাইনালে তারা। নেদারল্যান্ডসকে আক্ষেপে পুড়িয়ে এবার স্বপ্নের ট্রফিতে চুমু খাবার অপেক্ষা। যেখানে বাধা কেবল স্পেন।

ইদুনা পার্কে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বুধবার রাতে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এই হারে ইউরোর ফাইনাল অধরাই রয়ে গেল ডাচদের।১৯৮৮ সালে শিরোপা জেতার পর গত ৩৬ বছরে ৪ বার শেষ চারে উঠে এলেও ফাইনালে উঠা হয়নি তাদের।

সেমিফাইনালে ইংলিশদের জয়ের নায়ক ওলি ওয়াটকিনস। এবারের ইউরোয় এর আগে একটি মাত্র ম্যাচে ২০ মিনিট খেলার সুযোগ পাওয়া এই ফুটবলার এবার ১০ মিনিট খেলেই বদলে দিলেন ভাগ্য! যখন অতিরিক্ত সময়ের প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন, তখনই বদলে দিলেন গল্প।

বদলি নামা এই অ্যাস্টন ভিলা ফরোয়ার্ড নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে করলেন দুর্দান্ত এক গোল। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২–১ গোলের জয় এনে দেন ওয়াটকিনস।

যদিও ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ডাচরা। সপ্তম মিনিটেই লিড নেয় নেদারল্যান্ডস। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে আক্রমণে উঠেন জাভি সিমন্স। কিছুটা দূর থেকেই জালে শট নেন তিনি। যার নাগালই পাননি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। পরপর কয়েকবার আক্রমণে গিয়ে ডাচ রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেয় তারা। বারবার আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ভুল করে বসে ডাচরা, ১৬ মিনিটে হ্যারি কেনের শট ফেরাতে গিয়ে ফাউল করেন ডেনজেল ডামফ্রিস।

কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সেই সুবিধা নিয়ে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অধিনায়ক। ইউরোর নকআউটে এটা কেনের ষষ্ঠ গোল। ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। ৫টি গোল আছে গ্রিজম্যানের।

কয়েক মিনিট পর ইংল্যান্ড আরও একটা গোল পেতে পারত। ডি বক্সের ভেতর কোবি মাইনুর বাড়ানো বলে ফিল ফোডেন গোলরক্ষককে বোকা বানান। পায়ের ফাঁক গলে বল পাঠিয়েও দেন তিনি। কিন্তু শেষ সময়ে তা কোনোরকমে আটকে দেন ডামফ্রিস, বেঁচে যায় ডাচরা।

নেদারল্যান্ডসও গোল পেতে পারতো। এবার বাঁধা হয়ে উঠেন পিকফোর্ড। হেডের বল মুহূর্তেই উপরে দিয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। তাছাড়া ২৯ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে ডামফ্রিসের হেড বারে না লাগলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো।

এমন উত্তেজনার মাঝে ফোডেন দুর্ভাগ্য যেন আবার ফিরে আসে। ডাচদের পর পোস্ট হতাশ করে ইংল্যান্ডকেও। ৩২ মিনিটে তার নেয়া শট জালে প্রবেশ করতে করতে চলে যায় গোলবারের কানায় লেগে। প্রথমার্ধ তাই শেষ হয় ১-১ সমতাতে।

প্রথমার্ধ যতটা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল, সে তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধ ম্যাড়মেড়েই হয়েছে। বেশ কয়েকজন প্লেয়ার বদল করেও দুদল বলার মতো আক্রমণ করতে পারেনি। ৮১ মিনিটে হ্যারি কেনের বদলি হিসেবে নামেন ওয়াটকিন্স। ৯০ মিনিটে গোল করে তিনিই ম্যাচের নায়ক বনে যান।

১৪ জুলাইয়ের ফাইনালে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে স্পেনের।


আরো সংবাদ



premium cement