০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১,
`

সেমিফাইনালে ফ্রান্স, রোনালদোদের বিদায়

সেমিফাইনালে ফ্রান্স, রোনালদোদের বিদায় - ছবি : সংগৃহীত

ইউরোর শিরোপা পুনরুদ্ধার করা হলো না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর৷ বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে পর্তুগালের। থেমে গেছে এবারের যাত্রা। নির্ধারিত সময়ে সমানে সমানে লড়াই করলেও টাইব্রেকারে ফ্রান্সের সাথে পেরে উঠেনি। বিপরীতে শিরোপা স্বপ্ন খুব ভালো করেই ধরে রাখল ফরাসিরা।

হামবার্গে শুক্রবার ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও ফ্রান্স। যেখানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রোনালদো আর এমবাপ্পে। যেখানে অবশ্য শেষ হাসি এমবাপ্পেরই। টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে তার দল হারিয়েছে পর্তুগালকে।

প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ করে কাঙ্খিত গোল পায়নি কোনো দল। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও স্কোরবোর্ড গোলশূন্য থাকায় টাইব্রেকারে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ভাগ্য।

শুরুটা ছিল সাদামাটা, দুই দলই ছিল ছন্নছাড়া। তেমন একটা আক্রমণ করতে দেখা যায়নি কোনো দলকেই। প্রথমার্ধে বলার মতো কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি তাদের কেউ। দুই একটা আক্রমণ থাকলেও তাতে ছিলো না ধার।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ছিল প্রথমার্ধের ছায়া হয়ে। তবে ম্যাচের বয়স ঘণ্টার কাঁটায় পৌঁছানোর পর খেলায় খানিকটা রঙ ফেরে। ৬২ মিনিটে জোয়াও কানসেলোর দারুণভাবে বাড়ানো বল ধরে ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি বক্সে ঢুকে শট নিলে যার শুরু, যদিও গোল আসেনি।

এদিকে ৬৬ মিনিটে কোলো মুয়ানি অনেকটা একা পেয়ে যান কস্তাকে। কিন্তু তাতেও গোলমুখ খুলেনি, তার শট যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। এর পাঁচ মিনিট পর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সামনেও বাধা ছিল শুধু পর্তুগাল গোলকিপার। কিন্তু তিনিও সফল হতে পারেননি।।

দশ মিনিটের মধ্যে দুই দলের চারটি সুযোগ নষ্টের মাধ্যমে খেলা বেশ জমে ওঠে। তবে নির্ধারিত নব্বই মিনিটের মধ্যে আর কোনো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। তাতে গোলশূন্য শেষ হয় ৯০ মিনিট। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

তবে এখানেও খুলেনি গোল গোলকধাঁধা। তবে এবার আক্রমণ বাড়ে, চোখে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেখানে রোনালদো নিজেও সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হন। এদিকে এমবাপ্পেকে তুলে নেন কোচ দিদিয়ের দেশম। এবারও ফল না আসায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

যেখানে রোনালদো জালের দেখা পেলেও ভাগ্য সায় দেয়নি। জোয়াও ফেলিক্সের নেওয়া পর্তুগালের চতুর্থ শট পোস্টে লেগে মিস হলে সেটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। বিপরীতে পাঁচ গোলের সব জয়টি জালে জড়িয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফ্রান্স।


আরো সংবাদ



premium cement