০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫
`

পেনাল্টির সময়ে রোনালদোর হৃদস্পন্দন ছিল সর্বনিম্ন!

পেনাল্টির সময়ে রোনালদোর হৃদস্পন্দন ছিল সর্বনিম্ন! - ফাইল ছবি

পর্তুগাল-স্লোভেনিয়া ম্যাচ শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না! ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টি নষ্টের রেশ মিটতে না মিটতেই পর্তুগিজ মহাতারকাকে নিয়ে নয়া তথ্য উঠে আসছে। সেই তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে শুট আউটের প্রথম শট নেয়ার আগে রোনালদোর হৃদস্পন্দন সর্বনিম্ন ছিল।

রোনালদোর কান্না নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা হচ্ছে। কেউ লিখেছেন, কান্নার মাধ্যমে টেনশন, চাপ, চিন্তা কমিয়ে দেয়। পেনাল্টি শুট আউটের সময়ে রোনালদোর হৃদস্পন্দন কেন কমে গিয়েছিল, তার কারণ অবশ্য জানা নেই। পর্তুগিজ মহানায়ক তার কব্জিতে জড়িয়ে রাখেন হুপ ৪ নামের একটি স্ট্র্যাপ। সেটার মাধ্যমেই রোনালদোর নানা শারীরিক প্যারামিটার পরিমাপ করা হয়। তার মাধ্যমেই জানা গিয়েছে পেনাল্টি শুট আউট নেওয়ার সময়ে তার হৃদস্পন্দন কমে যায় বহুগুণে।

রোনালদোর পেনাল্টি নষ্টের দিনে উজ্জ্বল পর্তুগিজ গোলকিপার দিয়েগো কোস্তা। তিনি তিনটি শট বাঁচিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন পর্তুগালকে। স্বপ্ন বেঁচে থাকে রোনালদোর।

কব্জিতে লাগানো হুপ ৪-এর মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, প্রথম পেনাল্টি শটটি মারার সময়ে সিআর সেভেনের হৃদস্পন্দন ছিল ১০০ বিপিএম।

প্রথম পেনাল্টি থেকে রোনালদো গোল করে এগিয়ে দেন পর্তুগালকে। দ্বিতীয় শট থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোল করার পরে রোনালদোর হৃদস্পন্দন ছিল ১২৫ বিপিএম। কোস্তা তৃতীয় পেনাল্টি শটটিও বাঁচান। রোনালদোর কাছে ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচ জিতছে পর্তুগালই। বার্নার্দো সিলভা পেনাল্টি মারতে যাওয়ার সময়ে রোনালদোর হৃদস্পন্দন ছিল ১৭০ বিপিএম।

কেরিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছেও রোনালদো কিন্তু খবরের মধ্যে। পেনাল্টি নষ্ট করে তিনি শিরোনামে। হৃদস্পন্দন কমে যাওয়াতেও তিনি খবর। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে পর্তুগালের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মার্টিনেজের আস্তিনের আসল তাস সেই রোনালদোই। সাফল্যের পিছনে নিরন্তর ধাওয়া করে চলেছেন রোনালদো। তার অনন্ত তৃষ্ণা। এই তৃষ্ণাই রোনালদোকে এখনো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement