শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে কিংসের ‘ট্রেবল’ জয়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২২ মে ২০২৪, ২০:৫৫
গোলের খেলায় গোল হলো, সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হলো, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা ছড়ালো; পরতে পরতে লুকিয়ে ছিল রোমাঞ্চও। ফাইনাল হলো একদম ফাইনালের মতোই! যেখানে মোহামেডানকে আক্ষেপে পুড়িয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতলো বসুন্ধরা।
বুধবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংস। নানান নাটকীয়তা শেষে অতিরিক্ত সময়ের গোলে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারায় বসুন্ধরা। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের তৃতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জয়ের গৌরব অর্জন করল অস্কার ব্রুজেনের দল।
দর্শকে টইটম্বুর রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। আজ যেন ফুটবলে এ দেশের স্বর্ণ যুগের কথাই মনে করিয়ে দিল ময়মনসিংহবাসী। অবশ্য জৈষ্ঠের তীব্র উত্তাপেও দর্শকদেরও নিরাশ করেননি ফুটবলাররা। পুরে নব্বই মিনিট মাতিয়ে রেখেছেন রোমাঞ্চে।
যদিও আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চললেও প্রথমার্ধে আসেনি গোল। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য একটু বেশিই মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। টানা আক্রমণে ব্যস্ত রাখে বসুন্ধরার রক্ষণ। একটা সময় পেয়ে যায় কাঙ্খিত গোলও। ৬২তম মিনিটে জাল খুঁজে নেন এমানুয়েল সানডে। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি শ্রাবণ।
গোল হজম করে আআড়মোড়া ভেঙে উঠে বসুন্ধরা। সমতায় ফিরতে আক্রমণের বাহার সাজায়। তবে একের পর এক আক্রমণ নষ্ট করে দেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন। একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো ভাগ্য আজ সাথে নেই বসুন্ধরার।
এমন সময়ে মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে কিংসের মিগুয়েল দামাসিনোর পাগলাটে দৌড়। তাকে আটকাতে ব্যর্থ মোহামেডানের একাধিক খেলোয়াড়। এরপর জোরাল শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। শেষ বাঁশি বাজার মাত্র ৪ মিনিট আগে দলকে ফেরালেন সমতায়। ম্যাচেও ফেরে প্রাণ।
নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে বাজিমাত করে বসুন্ধরা। ১০৫ মিনিটে কর্নার পায় কিংস। কর্ণার থেকে আসা বল মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজনের হাত ফসকে গেলে জাহিদ জালে পাঠান। গোলের উল্লাসে মাতে কিংসের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা।
কিংসের উন্মাতাল উদ্যাপনের মধ্যেই মোহামেডান দলে প্রতিবাদ করে বসে। তাদের দাবি, গোলের আগে গোলরক্ষক সুজনকে বাধা দিয়েছে কিংসের খেলোয়াড়। প্রতিবাদ জানাতে থাকে তারা। তরে রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
একটা সময় মারমুখী হয়ে ওঠেন সাদা কালো জার্সিধারীরা। রেফারির সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাঠ থেকে বেরিয়েও যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। খেলা বন্ধ থাকে ১০ মিনিট। এই সময়ে অবশ্য গ্যালারি থেকেও মোহামেডান সমর্থকরা বোতলসহ নানা কিছু নিক্ষেপ করতে থাকে মাঠে।
দেখা হয় রিপ্লে। যেখানে দেখা যায় তেমন কিছুই ঘটেনি সেই সময়ে। ফলে মোহামেডান ফের খেলায় ফেরে। তবে ভাগ্য আর ফেরাতে পারেনি তারা। মোহামেডানের মুখ থেকে শিরোপা ছিনিয়ে শিরোপা জয়েত উদযাপনে মাতে বসুন্ধরা। যা এই মৌসুমে তাদের তৃতীয় শিরোপা। এর আগে স্বাধীনতা কাপ ও বিপিএলের শিরোপাও জিতেছে তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা