১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চেলসি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন থিয়াগো সিলভা

চেলসি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন থিয়াগো সিলভা - ছবি : সংগৃহীত

মৌসুমের শেষে চেলসি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। যদিও একইসাথে তিনি জানিয়েছেন ভবিষ্যতে অন্য কোনো ভূমিকায় তিনি আবারো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফিরতে চান।

এবারের গ্রীষ্মের পরেই ৩৯ বছর বয়সী থিয়াগোর সাথে চেলসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। জন্মভূমি ব্রাজিলের কোনো ক্লাবেই আবারো তার ফেরার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ফ্লুমিনেন্সের আগ্রহের কথা শোনা গেছে। তবে মেজর লিগ সকার ও সিরি-এ ক্লাব এসি মিলানের সাথে তার আলোচনার গুঞ্জন রয়েছে।

২০২০ সালের আগস্টে ফ্রি ট্রান্সফারে সিলভা চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত ব্লুজদের জার্সি গায়ে খেলেছেন ১৫১টি ম্যাচ। চেলসির হয়ে জয় করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ও উয়েফা সুপার কাপ।

ক্লাবের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক আবেগী বার্তা থিয়াগো বলেছেন, ‘চেলসি আমার কাছে অনেক কিছু। আমি এখানে এক বছর থাকার লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু একে একে চার বছর কাটিয়ে দিয়েছি। এটা শুধুমাত্র আমার একার নয়, পরিবারের কাছেও প্রিয় একটি জায়গা। আমার ছেলেরাও চেলসির হয়ে খেলে, সে কারণেই এটি আমার পরিবারের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। এবং আমি এই ক্লাব নিয়ে গর্ববোধ করি। আমার ছেলেরা যেহেতু এখানে আছে, আমি চাই তারা এই ক্লাবের হয়ে তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলবে। অনেক খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে চেলসির মতো একটি ক্লাবে খেলার। আমি মনে করি এখানে গত চার বছরে নিজের সর্বোচ্চটা দেবার চেষ্টা করেছি। এর অর্থ এই নয় যে এখানেই আমার সাথে চেলসির সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে। আশা করছি আমার জন্য এখানকার দরজা উন্মুক্ত থাকবে। অদূর ভবিষ্যতে অন্য কোনো ভূমিকায় আমি যেন আবারো এখানে আসতে পারি। এই ভালবাসা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি শুধু সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

ফ্রাংক ল্যাম্পার্ডের অধীনে সিলভা চেলসি ক্যারিয়ার শুরু করার পর ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে থমাস টাচেলের অধীনে খেলেছেন। এরপর গ্রাহাম পটার ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কোচের দায়িত্ব পান। সাত মাস পর ল্যাম্পার্ড আবারো অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে ফিরে আসেন। এরপর গত গ্রীষ্মে তার স্থলাভিষিক্ত হন মরিসিও পোচেত্তিনো।

থিয়াগো সিলভা বলেন, ‘করোনা মহামারীর সময় আমি এখানকার যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন স্টেডিয়ামে কোনো দর্শক আসতে পরাতো না। কিন্তু সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে আমার সাথে সমর্থকদের একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবারো যখন তারা স্টেডিয়ামে ফিরতে শুরু করে তখন জীবনও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আমি তখন তাদের সাথে সত্যিকারের ভালোবাসার সম্পর্ক অনুভব করতে থাকি। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধাও বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই বিদায় বলা সবসময়ই কঠিন। কিন্তু যখন সেখানে পারষ্পরিক ভালবাসা থাকে তখন বিষয়টি আরো বেশি কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু একবার যে ব্লু হবার সুযোগ পায় সে সবসময় ব্লুই থাকে।

আমি যখন প্রথমবারের মতো চেলসিতে আসি তখন মনে হয়নি একজন নতুন খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামছি। সবকিছুই এখানে স্বাভাবিক মনে হয়েছে। সবাই বেশ বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে, এটাই এই ক্লাবের সবচেয়ে বড় গুণ। দ্রুতই আমি দলের একটি অংশ হয়ে যাই। ফ্রাংক ল্যাম্পার্ড এখানে বড় একটি ভূমিকা পালন করেছে। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার কাছে এটা শুধু স্বপ্নই ছিল না, আমি কল্পনাতে কখনো ভাবিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো সর্বোচ্চ পেশাদার শিরোপা কখনো জয় করতে পারবো। আবারো এই ক্লাবে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেই আজ বিদায় নিচ্ছি।’

উরুর ইনজুরির কারণে চেলসির এ মৌসুমের বাকি পাঁচ ম্যাচে সিলভার খেলা নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement