১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পিএসজি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আরো একবার প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখল পিএসজি। প্রথম লেগে পিছিয়ে থেকেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো প্যারিসের দলটি। বার্সেলোনাকে কাঁদিয়ে নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল। দুই লেগ মিলিয়ে শেষ আটের লড়াইয়ে কাতালানদের হার ৬-৪ গোলে।

প্রথম লেগে ঘরের মাঠে জিততে পারেনি পিএসজি। হেরেছিল ৩-২ ব্যবধানে। তবে দ্বিতীয় লেগে এসে বার্সার মাঠকে আপন করে নেয় তারা। মঙ্গলবার রাতে কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে জয় তুলে নেয় ৪-১ ব্যবধানে। তাতেই শোক বিহ্বল হয়ে পড়ে গোটা কাতালান পাড়া।

বার্সেলোনার ‘নতুন ঘর’ এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল উত্তেজনায় পূর্ণ। ঘটনাবহুল ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ১২টি কার্ড দেখেছে ৯০ মিনিটে, যার মাঝে লাল কার্ড ছিল তিনটি। লাল কার্ড থেকে রেহাই পাননি বার্সার প্রধান কোচ জাভিও।

অথচ প্রথম দিকে সব কিছুই ছিল নিয়মতান্ত্রিক। আধিপত্য ছিল বার্সারই। প্রথম লেগে জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক বনে যাওয়া রাফিনিয়া দ্বিতীয় লেগের শুরুতেই পান গোলের দেখা। ১২তম মিনিটে তার গোলে শেষ চারের লড়াইয়ে ৪-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।

ধাক্কাটা আসে ২৯তম মিনিটে। পিএসজির ব্রাডলি বারকোলাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় রোনাল্ড আরাউজো। ম্যাচের আধঘণ্টা পেরোনোর আগেই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া বার্সার পিছিয়ে পড়ার শুরু সেখানেই।

প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুযোগে চাপ বাড়ায় পিএসজি। ৪০তম মিনিটে তাদের ম্যাচে ফেরান দেম্বেলে। বাঁ দিক থেকে বারকোলার বাড়ানো বলে দূরের পোস্টে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। স্কোরবোর্ড তখন ৪-৩।

চাপ ধরে রেখে ৫৪তম মিনিটে আবার বার্সেলোনার জালে বল পাঠায় পিএসজি। আশরাফ হাকিমির থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে গোলটি করেন ভিতিনিয়া। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ৪-৪ সমতা। তাতেই জমে উঠে খেলা।

এরই মাঝে রেফারির একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে টাচলাইনে থাকা পানির বোতলে লাথি মারেন বার্সা কোচ কিছু একটা বলতে থাকেন রেফারিকে। ফলে বার্সেলোনা কোচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ছাড়তে হয় ডাগ আউট। প্রতিবাদ জানাতে গেলে লাল কার্ড দেখতে হয় বার্সার অতিরিক্ত গোলকিপার কোচ দে লা ফুয়েন্তেকেও।

সেই রেশ না কাটতেই এবার এগিয়ে যায় পিএসজি। ৬১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করেন এমবাপ্পে। কানসেলো দেম্বেলেকে নিজেদের বক্সে ট্যাকল করে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় তারা। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ৫-৪ গোলে এগিয়ে প্যারিসের দলটি।

শেষ গোলটা আসে ৮৯তম মিনিটে। ডাবল সেভ করেও গোল আটকাতে পারেননি স্টেগান। মার্কো আসেন্সিওর শট ঠেকানোর পর এমবাপ্পের প্রথম প্রচেষ্টাও রুখে দেন তিনি। তবে বল আয়ত্তে রাখতে পারেননি বার্সেলোনার ডিফেন্ডাররা। ফলে ফিরতি শটে ম্যাচের শেষ গোল করেন এমবাপ্পে।

শেষ চারের লড়াইয়ে পিএসজির প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। দুই লেগ মিলিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে শেষ চারের টিকেট পেয়েছে জার্মান দলটি।


আরো সংবাদ



premium cement