উত্তেজনায় ঠাসা মাদ্রিদ ডার্বিতে জেতেনি কেউ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৭
মাঠে নামার আগেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে মাদ্রিদ ডার্বি। যা ছিল আবার লা লিগার শীর্ষস্থান দখলের লড়াই। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রেফারির চরম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আরো উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও কেউ হাসেনি শেষ হাসি।
শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লা লিগার ম্যাচে মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। তবে এই ম্যাচে কেউ জেতেনি, আবার কেউ হারেওনি। ১-১ গোলে ড্র করেছে দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী।
লা লিগায় আগের ম্যাচে হারের পর রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো বিদ্রূপ করেছিলেন লা লিগার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস। তবে গতরাতে ফের রিয়ালের গলার কাঁটা হয়ে উঠলো সেই রেফারিংই।
ম্যাচটা ছিল দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে থাকা অ্যাতলেটিকোর সাথে ব্যবধান বড় করতো রিয়াল মাদ্রিদ। তবে হেরে গেলে শীর্ষে উঠে যেতো নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
তবে কেউ না জেতায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রিয়ালই থাকছে। ২৩ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৫ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৫০। সমান ম্যাচে ১৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অ্যাতলেটিকো। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বার্সা।
চোটে নাকাল রিয়াল মাদ্রিদ এদিন রক্ষণভাগ সাজিয়েছে নিজেদের প্রধান চার ডিফেন্ডারকে ছাড়াই। তাতেও খুব একটা পরীক্ষা দিতে হয়নি তাদের। ম্যাচের অধিকাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখে রিয়াল।
বিপরীতে প্রথম ৩০ মিনিটে নিজেরাও বড় কোন আক্রমণ করতে পারেনি। ফলে ম্যাচ গড়াচ্ছিলো সাদামাটা। তবে এর মাঝেই ঘটে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। অদ্ভুত এক পেনাল্টি দিয়ে বসেন ম্যাচ রেফারি।
৩১মিনিটে রিয়ালের ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে আসা ক্রস নিয়ন্ত্রণ নিতে পা বাড়িয়েছিলেন সামুয়েল লিনো, একই সময়ে পা বাড়ান রিয়ালের চুয়ামনিও। তার পা গিয়ে পড়ে লিনোর পায়ের ওপর। কিন্তু তার আগেই বল দুজনের মাঝ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
রেফারি খানিকটা সময় নিয়ে মনিটরে দেখার দিকে ইঙ্গিত করে। দুই দলের কেউই পুরো বিষয়টা নিয়ে সিরিয়াস ছিল না। ধারাভাষ্যকাররাও আলোচনা করছিলেম, এটা কোনোভাবেই পেনাল্টি মনে হচ্ছে না।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। এরপর আলভারেসের সোজাসুজি স্পট কিক নেন, এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
গোল হজম করে জেগে উঠে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে তারা। যার ফলও পায় দ্রুতই। ৫০ মিনিটে রদ্রিগো বল বাড়ালে ছয় গজের বক্সের মুখে বল পান বেলিংহ্যাম।
সেখান থেকে এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের নেয়া শট রক্ষণদেয়ালে প্রতিহত হয়। কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে ডান পায়ের ভলিতে জালে পাঠান এমবাপ্পে। ম্যাচে ফেরে সমতা।
দুই মিনিট পর ভাগ্য সহায় হলে এগিয়েও যেতে পারতো রিয়াল। তবে, ভিনিসিউস জুনিয়রের ক্রসে গোলমুখ থেকে বেলিংহ্যামের হেড ক্রসবারে লাগে। ৭১ মিনিটে রদ্রিগোর জোরাল শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৪ মিনিটে তার ফ্রি-কিক ঠেকান অ্যাতলেটিকো গোলরক্ষক।
বাকি সময়ে চাপ ধরে রাখলেও, উল্লেখযোগ আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। ফলে আর গোল আসেনি। ম্যাচ শেষ হয় সমতায়। লা লিগায় এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ অ্যাতলেটিকোর বিপক্ষে জয়হীন রইল রিয়াল মাদ্রিদ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা