ওরা আর বোঝা নয়
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:০২
কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারিয়েছে। কেউ জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ। এক জনকে পাওয়া গেল ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে এখন পঙ্গু। তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে গতকাল বাফুফের টার্ফে অনুষ্ঠিত অ্যামপিউটি ফুটবলে পাওয়া গেল অঙ্গ হারানো এই ফুটবলারদের। এতে শহীদ মুগ্ধ একাদশকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শহীদ সাফায়েত একাদশ।
খেলতে আসা ফুটবলাররা জানান, পঙ্গু হওয়ার পর তারা নানা ভাবেঅবহেলা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তবে এখন ফুটবলের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তারা আর সমাজের বোঝা নয়। নিজেরাই এখন স্বাভলম্বী।
২০১৪ সালে নেত্রকোনার কমলাকান্দায় বাস দুর্ঘটনায় হাত হারান জামিনুল ইসলাম। সুস্থ থাকা অবস্থায় গোলরক্ষক হিসেবে খেললেও এখন খেলছেন ডিফেন্সে। সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন লেখাপড়াও। পড়ছেন ডিগ্রিতে। ৪ বছর আগে গাজীপুরের কালিগঞ্জের নাদিম পা হারিয়েছেন পাওয়ার টিলারের দুর্ঘটনায়। এখন মিডফিল্ডে খেললেও এর পাশাপাশি অটো রিকশা চালান তিনি। নাদিম জানান, এখন আর মনে করি না যে আমি কিছুই পারবো না।
২০১৩ সালে সাভারের আশুলিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেই বাসের হেলপার শিপন মিয়ার। প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করিয়েছেন। এখন তার জীবন চলে চা দোকান চালিয়ে। পঙ্গু হয়েও ফুটবলার হিসেবে গর্বিত শিপন। কারণ তিনি বাংলাদেশ অ্যামপিউটি জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য। ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আছেন লাল-সবুজ জার্সীতে। কিশোরগঞ্জের শহীদুল্লাহ সড়ক দুর্ঘটনায় চাচাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের পা হারান। এই পঙ্গুত্বের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যালের ডাক্তারের ভুলকে দায়ী করেন তিনি। এখন ফুটবলের সাথে লেখাপড়াও করছেন তিনি।
কক্সবাজারের সিফাত ডাক্তারের ভুল ইনজেকশন পুশকে দায়ী করেন তার পঙ্গুত্বের জন্য। তিনি ও তার ভাবী হাসপাতালে গিয়েছিলেন ইনজেকশন দেয়ার জন্য। সেখানে ভাবীর হাই পাওয়ারের ইনজেকশন ভুল করে দেয়া হয় ৪ বছরের সিফাতের পায়ে। এতে পরবর্তীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় পা কেটে ফেলতে হয় তার। পঙ্গু হওয়ার পর প্রচণ্ড অবহেলা ও তিরস্কারের শিকার হন তিনি। তবে এখন তিনি পঙ্গুত্ব জয় করেই দেশের ফুটবলকে কিছু উপহার দিতে চান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা