১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইতালিকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

ইতালিকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স - ছবি : সংগৃহীত

সাবেক দু'বিশ্বচ্যাম্পিয়নের লড়াই- মুখোমুখি ফ্রান্স ও ইতালি। উত্তেজনার পারদ ছিলো একটু বেশিই। তবে প্রায় সমানে সমানে লড়াই হলেও যেখানে শেষ হাসি ফ্রান্সের। আজ্জুরিদের হতাশা উপহার দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেরা আটে পা রাখলো দিদিয়ে দেশমের দল।

আগেই নেশন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় রোববার দুই দলের লড়াই ছিল কেবল গ্রুপ সেরা হবার। যেখানে ৩-১ গোলে ইতালিকে হারিয়ে সেরা দল হিসেবেই শেষ আটে পৌঁছালো ফ্রান্স। সমান জয় নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দুইয়ে রইলো ইতালি।

ফ্রান্সের জন্য ম্যাচটা ছিল প্রতিশোধের। নেশন্স লিগের প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ইতালির কাছে হেরেছিল ফ্রান্স। ফলে ঘোষণা দিয়েই প্রতিশোধ নিতে মাঠে নামে ফরাসিরা। সেই লক্ষ্য পূরণে ইতালিকে লজ্জাই দিলো দিদিয়ে দেশমের দল।

১৯৮৩ সালে সুইডেনের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের পর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল ইতালি।

এদিন ম্যাচের প্রথম সুযোগেই মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। দিনিয়ের কর্নারে লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন রাবিও। গোল হজমের পর ঘুরে দাঁড়াতে আক্রমণ সাজাতে থাকে ইতালি, তবে দোন্নারুম্মার জায়গায় সুযোগ পাওয়া ভিকারিও তা রুখে দিতে থাকেন।

এর মাঝেই ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। দিনিয়ের ফ্রি-কিকে বল ক্রসবারে লেগে ভিকারিওর পিঠ ছুঁয়ে জালে জড়ায়। উদযাপনের উপলক্ষ পায় ফ্রান্স। তবে সেই উদযাপন দীর্ঘ হয়নি, ২ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে ফ্রান্স।

৩৫ মিনিটে একটি গোল শোধ করে ইতালি। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে দিমার্কোর ক্রসে ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন ডিফেন্ডার কাম্বিয়াসো। তাতে স্কোর দাঁড়ায় ২-১। এই স্কোর নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে আবারও গোল পায় ফ্রান্স, এগিয়ে যায় ব্যবধান ধরে রেখে। ৬৫ মিনিটে দিনিয়ের নেয়া ফ্রি কিক থেকে হেড করে গোল করেন রাবিও। জাতীয় দলের হয়ে এই প্রথম এক ম্যাচে দুটি গোল করলেন তিনি।

এরপর বেশকিছু সুযোগ তৈরি করেছিলো দুই দলই। তবে গোলের দেখা পায়নি। ফলে ফ্রান্সের কাছে হেরে গ্রুপে দ্বিতীয় অবস্থান থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করল ইতালি।


আরো সংবাদ



premium cement