২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লড়াই করেও মালদ্বীপের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-মালদ্বীপের ম্যাচের একটি মুহূর্ত - ছবি : সংগৃহীত

শক্তিমত্তায় যদিও বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে মালদ্বীপ, তবুও চোখে চোখ রেখেই লড়াই করেছে টাইগাররা। তবে শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় হয়নি। ম্যাচের শুরুর দিকেই হজম করা গোলের বদলা নিতে পারেনি হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

মালদ্বীপের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বুধবার (১৩ নভেম্বর) মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই দাপট ধরে রাখলেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি স্বাগতিকেরা। হেরে গেছে ১-০ গোলে।

নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকায় এই ম্যাচে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড ওঠে ডিফেন্ডার তপু বর্মনের বাহুতে। তবে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখা হলো না তার। মালদ্বীপের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ অজেয় থাকার পর হেরে গেল টাইগাররা।

এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই ভালো একটি আক্রমণ শাণায় টাইগাররা। মোরসালিনের শট ডিফেন্ডার ইউসুফ হুসেইন কোনোমতে পা দিয়ে আটকান, এরপর তার ফিরতি প্রচেষ্টাও প্রতিহত হয় আরেকজনের গায়ে লেগে।

হামজা মোহাম্মদের ফ্রি কিকে বক্সের ভেতরে একেবারে ফাঁকায় ছিলেন আলী ফাসির। পোস্টের সামনে থেকে অনায়াসেই হেডে বল জালে জড়ান এই ফুটবলার। একেবারে আনমার্কিং থাকায় গোলরক্ষক মিতুল মারমার তখন কিছুই করার ছিল না।

১৫ মিনিটে ফাহিমের ক্রস থেকে গোলের ভালো একটা সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে রাকিবের হেড গোল হওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না। উল্টো দুই মিনিট পরই গোল হজম করে বসে টাইগাররা।

হামজা মোহাম্মদের ফ্রি কিকে বক্সের ভেতরে একেবারে ফাঁকায় ছিলেন আলী ফাসির। পোস্টের সামনে থেকে অনায়াসেই হেডে বল জালে জড়ান এই ফুটবলার। নাগালের বাহিরে থাকায় গোলরক্ষক মিতুল মারমার তখন কিছুই করার ছিল না।

৩৪ মিনিটে আবারো ব্যর্থ হয় রাকিবের প্রচেষ্টা। তাতে সমতা ফেরানোর সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। ৩৭ মিনিটে মোরছালিনের ফ্রি কিক থেকে তপু বর্মণের হেড বাইরে দিয়ে চলে গেলে হতাশা বাড়ে টাইগার শিবিরে।

এদিকে বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে ৪৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সোহেল রানার শট দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তাতে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মালদ্বীপ কিছুটা চাপে ফেললেও ৫৫ মিনিটের পর তিন পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। তাতে মালদ্বীপের ওপর পূর্ণ আধিপত্যই প্রতিষ্ঠা করে স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণে মালদ্বীপের রক্ষণকে চাপের মুখে ফেলে তারা।

তবে চাপে থাকলেও মালদ্বীপ দিশেহারা হয়নি। বিশেষ করে মালদ্বীপের গোলকিপার হুসেইন শরীফ ছিলেন দুর্দান্ত। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের প্রচেষ্টাগুলো বারবার হতাশার সাথে ফিরিয়েছেন তিনি।

বিশেষ করে ৮৬ মিনিটে মোরসালিনের দারুণ একটা ক্রস আটকে দেন শরীফ। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে রাকিবের তৈরি করা আরো একটা সুযোগ আটকে দেন শরীফ। তাতে শেষ পর্যন্ত সেই এক গোলের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

একই ভেন্যুতে আগামী শনিবার হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। দেখা যাক বাংলাদেশ পারে কিনা সেই ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাতে।


আরো সংবাদ



premium cement