সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:০৯
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ নারী দল।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘এটা আমাদের নারী ফুটবল দলের বিরাট অর্জন।’
তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। গোটা জাতি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। অভিনন্দন সেই সব খেলোয়াড়দের যারা আমাদের এই গৌরব এনে দিয়েছো।’
আবারো সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
সিংহাসন ধরে রাখলো বাংলাদেশের মেয়েরা। হাতছাড়া করেনি সাফের শিরোপা। আরো একবার নেপালকে হারিয়ে করেছে স্বপ্নপূরণ। আরো একবার লাল-সবুজের এই দেশ চ্যাম্পিয়ন। শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিজেদের শিরেই রেখে দিলো তহুরারা। নেপালকে হারিয়েছে ২-১ গোলে।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আরো একবার ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। আরো একবার স্বাগতিক নেপালকে আক্ষেপে পুড়িয়ে, গোটা স্টেডিয়ামকে কাঁদিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল বাংলাদেশ।
বুধবার শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটেই বড় সুযোগ আসে তহুরার সামনে। তবে তার শট ফিরে আসে সাইড পোস্টে লেগে। অল্পের জন্য গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
১০ মিনিটে অবশ্য পাল্টা আক্রমণে সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। আমিশা কার্কির শট পোস্টে লাগলে হতাশ হয় স্বাগতিকেরা। এরপর দুই দল আরো কিছু ছোট-খাটো সুযোগ তৈরি করলেও সাফল্য আসেনি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ আর প্রতি-আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। তবে প্রথম গোলটা আদায় করে নেয় বাংলাদেশই, ৫২ মিনিটে গোল করেন মনিকা। এগিয়ে যাওয়ার উল্লাসে মাতে টাইগ্রেসরা।
সেই উল্লাস স্থায়ী হয় মাত্র ৩ মিনিট। বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেননি সাবিনারা। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে প্রীতি রাইয়ের দুর্দান্ত এক থ্রো পাসে নেপালকে সমতায় ফেরান আমিশা কার্কি।
১-১ সমতার পর আবারো জমে উঠে দুই দলের লড়াই। উত্তাপ ছড়াতে থাকে ক্রমশ। এর মাঝে ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। তবে কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি সাবিনা খাতুনরা।
৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শট নেন মারিয়া মান্দা। তবে তার থেকেও দারুণভাবে সেই শট ঠেকিয়ে দেন নেপালি গোলরক্ষক। হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। নেপালও সুযোগ তৈরি করে, তবে গোলের দেখা পায়নি।
১-১ সমতা নিয়ে ম্যাচ যখন শেষ দশ মিনিটে, তখন ফের এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলকে এগিয়ে দেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ঋতুপর্ণা। শেষ পর্যন্ত তার গোলেই নির্ধারিত হয় শিরোপাভাগ্য। সত্যি হয় স্বপ্ন।
এর আগে ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিল। সেবার নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল কৃষ্ণা রানীর দল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা