২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩০, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

পাকিস্তানের সাথে হতাশার ড্র বাংলাদেশের

পাকিস্তানের সাথে হতাশার ড্র বাংলাদেশের - ছবি : নয়া দিগন্ত

দুই বছর আগেই ২০২২ সালে এই দশরথ স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সেই নারী সাফের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ১-৫ গোলে হার পাকিস্তানী মেয়েদের।

রোববার (২০ অক্টোবর) এই দলটির বিপক্ষে সাবিনা খাতুনদের বড় জয়ই পাওয়ার কথা ছিল।

অথচ সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা জিততেই পারেনি। কোনো মতে হার এড়িয়ে ১-১-এ ড্রয়ের মাধ্যমে অনিশ্চিত করে ফেলেছে সেমিতে খেলাটা।

সাফ শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে নক আউটে খেলতে বাংলাদেশকে এখন ২৩ অক্টোবর ভারতের সাথে নূন্যতম ড্র করতে হবে। অবশ্য হারলেও সমস্যা নেই। সেই হারটা ০-২ তে হলেও চলবে।

তবে বাংলাদেশের সাথে ড্র করে ইতিহাসই গড়েছে পাকিস্তান। এই প্রথম তারা নারী ফুটবলের যেকোনো লেভেলে ড্র করতে পেরেছে লাল-সবুজ মেয়েদের সাথে।

নারী ফুটবলে বাংলাদেশ সাফের শিরোপ জয় করে দুই বছর আগে। তবে সেই দলের হেড কোচ যেমন নেই। তেমনি অনুপস্থিত সিরাত জাহান স্বপ্না, আঁখি খাতুনরা। নতুন কোচ পিটার জেমস বাটলারের দল তেমন আশাপ্রদ খেলা উপহার দিতে পারছে না। চাইনিজ তাইপে এবং ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচেই এ চিত্র ফুটে উঠে।

আর ভয়াবহ অবস্থা দৃশ্যমান হয়েছে সাবিনাদের। না ছিল খেলার ছন্দ। না ছিল কোনো পরিকল্পনা। যার সূত্র ধরেই প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেতে হলো লাল-সবুজ মেয়েদের। ডিফেন্সের ভুলে গোল হজম, এরপর অযথাই বারবার দূরপাল্লার শটে গোল করার ব্যর্থ চেষ্টাই এই ধাক্কা খাইয়েছে চ্যাম্পিয়নদের।

ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। তবে গোলের নিশ্চিত সুযোগ আর পাচ্ছিল না। ক্রসগুলোও কানেক্ট করা যাচ্ছিল না ফরোয়ার্ডদের পায়ে বা মাথায়। আর পাকিস্তান কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ খুঁজতে থাকে। ২০ মিনিটে ছোট শামসুন্নাহারের শট বার উচিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় পাকিস্তানের লিড নেয়ার চেষ্টা। ২৫ মিনিটে সুহা হিরানীর দূর পাল্লার শট গোল হওয়ার উপক্রম তৈরি করে। গোলরক্ষক রুপনার চাকমা কোনো মতে কর্নার করলে সেই যাত্রায় রক্ষা। তবে ৩২ মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। ডিফেন্ডার শিউলী আজিমের ভুলে এই গোল। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে রামিন ফারিদ থ্রু পাস দেন। তা ক্লিয়ার করতে পারেনি শিউলী। ফলে জাসমিন সামিন মালিক বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আগুয়ান রুপনাকে পরাস্ত করেন।

পিছিয়ে পড়ার পর খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যদিও বিরতির আগে তাদের ম্যাচে ফেরা হয়নি ৪৩ মিনিটে রিতু পর্নার শট ক্রসবারে আঘাত করায়। বিরতির পর বাংলাদেশকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। এর মধ্যে ৫১ মিনিটে রিতু পর্নার শট অল্পের বাইরে যায়। ৭২ মিনিটে মনিকা চাকমার দূরপাল্লার শট বিপক্ষ কিপার নিসা আশরাফের হাত ফসকে কর্নার হয়। এই গোলরক্ষকের প্রতিরোধই গোল পেতে দিচ্ছিল না বাংলাদেশকে। এর মধ্যে ৭৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পায় পাকিস্তান। তবে গোলরক্ষক রুপনা চাকমা সময় মতো বের হয়ে এসে আমিনা হানিফের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে দলকে রক্ষা করেন। কোচ বাটলার অধিনায়ক সাবিনাকে তুলে কোচ বাটলার মাঠে নামান কৃষ্ণা রানীকে। তিনিও কিছু করতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত ইনজুরি টাইমে বাংলাদেশের হার এড়ানো গোল। বারবার দূর পাল্লার শট নিয়ে সুযোগ নষ্ট করা রিতু পর্না এবার আর সরাসরি পোস্টে শট নেননি। ৯১ মিনিটে তার ক্রস গিয়ে পড়ে ছোট শামসুন্নাহারের মাথায়। এতে হেডে চ্যাম্পিয়নদের উল্লাসে মাতান এই ফরোয়ার্ড। বাকি সময়েও বাটলার বাহিনী জয়ের দেখা পায়নি সেই দূর পাল্লার শট মেরে মেরে।


আরো সংবাদ



premium cement