১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
বাজার দর

আমদানির প্রভাব পড়েনি ডিমের বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-সবজি

- ছবি : সংগৃহীত

বেশ কিছু দিন ধরে দেশের বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছিল ডিম। বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি ভারত থেকে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮০০ পিস ডিম আমদানি করেছে সরকার। এমনকি পর্যায়ক্রমে আরো আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছে আমদানিকারকরা।

ডিম আমদানির পরও দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব পড়েনি। সপ্তাহে ব্যবধানে ডজন প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। এ ছাড়া আগের মতোই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফার্মের সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। গত সপ্তাহে এসব ডিম ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে না এতে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। আশা করেছিলাম স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলে সব কিছুর দাম কমবে। এখন তো দেখছি কিছুই কমছে না। তা হলে সরকার পরিবর্তন করে মানুষের লাভ হলো কী?

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সম্প্রতি কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণে অনেক মুরগির খামার নষ্ট হয়েছে। এতে ওই সব এলাকায় মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কমেছে। আবার ভারত থেকে সম্প্রতি যে ডিম আমদানি হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। তাই সরবরাহ বৃদ্ধি না পাওয়ায় দাম কমছে না।

গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে শুল্ক কমালেও এর কমানোর সুফল দেখা যায়নি বাজারে। আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্য দু’টি। বর্তমানে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহেও কোনো ঘাটতি নেই। তার পরও খুচরা বাজারগুলোতে দেশী পেঁয়াজ কেজি মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং আলুর কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে সবজির বাজারগুলোতে দেখা যায়, মানভেদে বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা ও পটোল কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ধুন্দল কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, করলা ৮০ টাকায়, টমেটো ১৬০ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০, কাঁকরোল ৬০, শসা ৪০, বরবটি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে রসুন। দেশী রসুন কেজি ২২০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

মাছের বাজারে দেখা গেছে, এক কেজি ইলিশের দাম ১৪০০-১৬০০ ও এক কেজির নিচে ১২০০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাশ মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, রুই-কাতল প্রতি কেজি আকারভেদে ৩০০-৪০০, শিং প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা ও বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement