০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
অর্থনীতি সমিতির বিবৃতি

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি

-

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলন চলাকালে স্বার্থান্বেষীদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পদে ধ্বংসলীলা চালানো হয়। এই আন্দোলন ও ধ্বংসলীলা চালাকালে অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। গতকাল এক বিবৃতিতে সমিতি বলছে, এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রন্ত হয়ে পড়েন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিনই কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করছে। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুতই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং কারফিউ উঠে যাবে।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোটা আন্দোলনকারীদের কোটা সংস্কার দাবি সম্পূর্ণ পূরণ হয়েছে। এখন শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। আন্দোলন চলাকালে বিশেষ করে ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, সেতু ভবন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়, বিভিন্ন স্থানের টোলপ্লাজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, মহাখালীর ডাটা সেন্টার, মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিদ্যুৎ অফিস, বিআরটিএ ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এ ছাড়া বহু ব্যাংক, দোকানপাট, অফিস, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সব কয়েদিকে বের করে দিয়েছে। এসব ধ্বংসলীলা যারা সংগঠিত করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো নির্দোষ-নিরাপরাধী কোনোভাবেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

সমিতি বলছে, সব ধরনের গুজব ও সম্ভাব্য সন্ত্রাসী ঘটনা সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সব পক্ষকে একত্রিত হয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের দমন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে সুস্থ টেকসই গঠনতান্ত্রিক দেশ গঠনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য দেশবাসীর প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement