০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
বাড়ছে ইন্টারনেট গতি

শর্ত না মানলে বন্ধ থাকবে ফেসবুক টিকটক

-

দেশজুড়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বাড়ছে। এ বিষয়ে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করে রাখা হলেও ইউটিউব চলবে। গতকাল দেয়া নির্দেশনায় এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
এ দিকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবা চালুর বিষয়ে শুক্র বা শনিবার অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল ফোন অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) সাথে তিনি এ বিষয়ে বসবেন। এরপর তিনি রোববার থেকে ফোরজি চালু করার বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
ফেসবুক চালু হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, তাদের (ফেসবুক) আমরা অফিসিয়ালি চিঠি দেবো। সহিংসতা প্রতিরোধে তাদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাইবো। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ দিকে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু হলেও এখনো সচল হয়নি মোবাইল ইন্টারনেট। ফলে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস এখনো অনেকটা অচলাবস্থায় রয়েছে। এ খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ১৭ জুলাই থেকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় গত সাত দিনে গাড়ি ও মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আবার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া অনলাইনে লেনদেনসহ নিত্যদিনের বিভিন্ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। রাইড শেয়ারিং ব্যবহারকারী যাত্রীরা জানান, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তারা রাইড শেয়ারিং ব্যবহার করতে পারছেন না।
অ্যাপ-বেইসড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশের (ডিআরডিইউ) সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রায় দুই হাজার গাড়ি রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ব্যবহার করে। দৈনিক এসব গাড়ির চালক প্রায় তিন কোটি টাকা লেনদেন করেন। সে হিসাবে সাত দিনে গাড়িচালকরা প্রায় ২১ কোটি টাকার লেনদেন করতে পারেননি। এ ছাড়া প্রায় এক লক্ষাধিক মোটরসাইকেল অ্যাপসে চলে। বলা যায় প্রায় চার লক্ষাধিক চালক সাত দিন মোটরসাইকেল বের করতে পারেননি। এই চালকদের কম বেশি আয় দৈনিক এক হাজার টাকা। দেখা যায় প্রায় ২৮ কোটি টাকা এই সময়ে চালকরা আয় করতে পারেননি।


আরো সংবাদ



premium cement