০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

জনগণ হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদন্ত চায় : মির্জা ফখরুল

-

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড চালানোর ঘটনায় জনগণ আন্তর্জাতিক তদন্ত চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করে বলেন, শত শত নিরীহ ছাত্রছাত্রীকে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা হতাহত করেছে। অথচ সরকারের ইশারায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধু ছয়জনের হত্যাকাণ্ড তদন্ত করবে। এটা সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ারই নামান্তর। জনগণ আজ পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত চায়। নইলে ব্যর্থতার সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে তিনি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপির নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অনেকের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু সদস্য দোষারোপ করছে। যদি তাই হয়, তাহলে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, সেটি জনগণ জানতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়। সরকার তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলো ক্ষতি সাধন করে দুর্নীতির পথ প্রশস্ত করেছে। জনগণ ও বিশ্ববাসীর কাছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে তারা এখন হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
মির্র্জা ফখরুল বলেন, নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুই লাখ টাকা নগদ ও আট লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র করে প্রদান করা হয়েছে। শত শত নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে যারা পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে আমরা তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি করছি।
বিবৃতিতে বিএনপি নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, যুববিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাদ মোর্শেদ হোসেন পাপ্পা শিকদার এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে (যিনি রাজনীতির সাথে জড়িত নন) সানিয়াত ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের ভাই বিপুল হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।


আরো সংবাদ



premium cement