১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন স্টাফদের ঢাকা ছাড়ার অনুমতি দিলো যুক্তরাষ্ট্র

সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন আরো অস্থিরতা তৈরি করবে : চাক শুমার
-

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ঢাকায় আমাদের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সব বিকল্প বের করার কাজ করছি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে অত্যাবশ্যকীয় নন এমন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছায় সেখান থেকে চলে আসার অনুমোদন দিয়েছি। তবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এমন মার্কিন নাগরিকদের কন্স্যুলার এবং অন্য সার্ভিস দিতে দূতাবাস খোলা আছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিকের নিরাপত্তা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলে তাদের যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করতে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমরা উৎসাহিত করছি। সর্বোপরি বাংলাদেশে চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি আবারো পরিষ্কার করছি।
গতকাল ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ সব কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশকে ‘লেভেল ৪’ সবচেয়ে বিপজ্জনক জোন হিসেবে আপনারা ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে দেখামাত্র গুলির নির্দেশের অধীনে ব্যাপক নৈরাজ্য চলছে। নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০০। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছেন শিক্ষার্থীরা। নিরপরাধ শিক্ষার্থী এবং জাতিকে নিষ্ঠুরতা থেকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে?
ম্যাথিউ মিলার আরো বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি। যারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার চর্চা করছিলেন তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা আমরা জানাই। আবার কোনো প্রতিবাদী যদি সহিংসতার জন্য তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ব্যবহার করে থাকে, তাহলে তারও নিন্দা জানাই আমরা। যেকোনো রকম সহিংসতার নিন্দা জানাই আমরা। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের জনগণ তাদের মৌলিক স্বাধীনতা যেভাবে চর্চা করেন, চর্চা করতে সক্ষম হন- ঠিক সেই একইভাবে আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণও তাদের মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় সক্ষম হবেন। সুতরাং আমরা প্রতিবাদ বিক্ষোভকারী, সাধারণ নাগরিক এবং সরকার- সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অব্যাহত আহ্বান জানাই।
সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন আরো অস্থিরতা তৈরি করবে : চাক শুমার
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের মেজরিটি লিডার বা মার্কিন সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক দলের নেতা চাক শুমার। গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) চাক শুমার নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক্সেস তিনি লিখেছেন, “আমি বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগ নিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ এবং বিক্ষোভের অধিকার যেকোনো গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি। সহিংসভাবে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমন করা ভুল। সেটা আরো অস্থিরতা তৈরি করবে।”
উল্লেখ্য, চাক শুমার মার্কিন সিনেটের অন্যতম ক্ষমতাধর নেতা। বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ে কথা বলা মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে উচ্চপদস্থ।


আরো সংবাদ



premium cement