১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ঢামেকে গুলিবিদ্ধ আরো ২ জনের মৃত্যু

৮ লাশ দাফন বেওয়ারিশ হিসেবে
-

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরো দু’জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন ছয় বছরের শিশু রিয়া আক্তার এবং এক তরুণ শাহজাহান (২২)। এ ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে থাকা আটটি লাশ বেওয়ারিশ অবস্থায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর শাহবাগ থানা পুলিশ লাশ গুলো আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে গত সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জন ও মঙ্গলবারে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গতকাল হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহত রিয়া আক্তারের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি এলাকায়। গত ২০ তারিখ রিয়া অন্য শিশুদের সাথে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এমন সময় সংঘর্ষ এলাকা থেকে আসা একটি গুলি তার শরীর বিদ্ধ করে দেয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। গতকাল বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে রিয়া। নিহত শাহজাহানের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। গত ১৯ তারিখ উত্তরা আজমপুর এলাকায় গুলিতে আহত হন। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত ১টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে হাসপাতালের মর্গে থাকা গুলিবিদ্ধ আটটি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। গত চার দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ওই আট লাশের সন্ধানে কেউ আসেননি; যার কারণে শাহবাগ থানা পুলিশ গতকাল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সদস্যদের ডেকে লাশগুলো দাফনের জন্য হস্তান্তর করে। আঞ্জুমান মুফিদুল লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করেছে বলে জানা গেছে।
মর্গ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বলেন, অনেক লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে ঢাকা মেডিক্যালের হিমঘরে মাসের পর মাসও পড়ে থাকে। কিন্তু এসব লাশ পুলিশ এত দ্রুত কেন বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করলো আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছিল আরো দু-এক দিন রাখা যায় কি না।

 


আরো সংবাদ



premium cement