০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক নাহিদ
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা : নয়া দিগন্ত -

পরনে লুঙ্গি, হাতে ক্যানোলা লাগানো। একজনের হাত ধরে কোনোভাবে হেঁটে এসে উঠলেন মঞ্চে। পরিস্থিতি দেখে বোঝাই যাচ্ছে তার ওপর কী নির্যাতন হয়েছে। প্রেস কনফারেন্স শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা করলেন, হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তবে এর আগে সরকার যদি আলোচনায় বসতে চায় তবে তাকে চারটি দাবি মানতে হবে। এজন্য সরকারকে দুই দিনের সময় বেঁধে দিলেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মেনে নিয়ে শুক্রবার ক্যাম্পাসে ফিরে তারা সরকারের আগের আটটি দাবি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে ৮ জুন যে আরেকটি অধ্যায় শুরু হয়েছে, যে আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে, সেই আন্দোলনের কিছু প্রত্যাশিত থাকলেও অনেক কিছু ছিল অপ্রত্যাশিত। সেই পরিস্থিতিতে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রয়েছি। এরপর বক্তব্য শুরু করেন নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নম্বর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ৮ জুন মহামান্য হাইকোর্ট কোটার ব্যাপারে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে যে রায় দেন সেই রায়ের বিরুদ্ধে আমার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে যা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে সহায়ক হবে। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উসকানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ দমনপীড়ন চালিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা চালায়। এটা অনাকাক্সিক্ষত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখন আমরা অভিভাবক, স্কুল-কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আমাদের নিরাপত্তার আহ্বান জানাই। পরে আমরা দেখতে পাই, সারা দেশে একটি ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন করে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বিতারিত করা হয়, যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। পরে সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ জারি করা হয়। এই পরিস্থিতির সুযোগে পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য দুর্বৃত্তরা নাশকতা করে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় আগুন লাগায় এবং যানমালের ক্ষতি করে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে এই ধরনের সহিংস ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা স্পষ্ট সরকারের দায়িত্বহীন আচরণ ও দমনপীড়নের জন্য এই অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারকে নিতে হবে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন এই পরিস্থিতির দায় প্রতিবাদী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ওপর চাপিয়ে সরকার পুরোপুরি দায় এড়াচ্ছে। আমরা প্রথম থেকেই সরকারের সাথে আলোচনার কথা বলেছি। কিন্তু সরকার ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন করে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের বিতাড়িত করে আমাদের আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। আমরা সেই আলোচনা প্রত্যাখ্যান করিনি। ফলে প্রতিবাদী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আমি নাহিদ ইসলাম আমাকে গুম করে ২৪ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়। একই সাথে তাদের কাছে কিছু দাবি পেশ করতে গেলে সেটা সংলাপ বলে মিডিয়ায় প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়। গুম, গ্রেফতার, প্রপাগান্ডা, ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন, কারফিউ রাষ্ট্রযন্ত্রের সকলকিছু ব্যবহার করে সরকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও প্রতিবাদী ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে সরকার এখন প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। রক্ত ও লাশের ওপর দাঁড়িয়ে এই প্রজ্ঞাপন ছাত্র ও নাগরিকদের প্রতি আরেকটি নির্মমতার ইতিহাস হয়ে থাকল। কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের আন্দোলন। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে, রাজাকারদের পক্ষে বলে এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এত কিছুর পরেও আমরা মনে করি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেছেন। সেই অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- স্টেকহোল্ডাদের সাথে আলোচনা ব্যতিরেকে এই প্রজ্ঞাপন সমীচীন নয়। আমরা চেয়েছিলাম সব পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এই প্রজ্ঞাপন হবে, যাতে নতুন করে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়। আমরা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। এ দু’টো প্রজ্ঞাপনে প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার। এ বিষয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে নীতিনির্ধারকদের সংলাপ প্রয়োজন। তবে সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে কোটা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারে। তাই কোটা ব্যবস্থার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। যেখানে প্রাসঙ্গিক অংশীদারদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কোটা সম্পর্কে আরো বক্তব্য আছে। কিন্তু তার আগে সংলাপের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। গত কয়েক দিনে সহিংসতায় সারা দেশে কয়েক শ’ ছাত্র শহীদ হয়েছেন এবং কয়েক হাজার লোক আহত হয়েছেন। হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন বাবারা। এত রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা কোটা সংস্কার চাইনি। আমরা হত্যার বিচার চাই। আমাদের আহ্বানে সব শিক্ষার্থীও নাগরিকরা রাজপথে নেমে এসেছিলেন। আমরা জনগণকে বলতে চাই- আমরা জনগণের সাথে আছি। আমাদের দাবি ক্যাম্পাসগুলো খুলে দেয়া হোক। আমরা সবার সাথে আলোচনা করে আমাদের জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমাদের বাসায় পুলিশ, ডিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক যাচ্ছে। সারা দেশে নির্বিচারে মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা এই পরিস্থিতির অবসান চাই। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আহ্বান থাকবে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি আর দাঁড়াবেন না। আর একটি গুলিও যাতে কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে না ছোড়া হয়। সারা দেশে যেসব মানুষ শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন আমরা তাদের পাশে আছি। শেষ পর্যন্ত থাকব। এখন যেহেতু ইন্টারনেট নেই। আমাদের সমন্বয়কদের অনেকের খোঁজ এখনো পাচ্ছি না, এই অবস্থার দ্রুত পরিত্রাণ করতে হবে। আমরা সমন্বয়কদের নিয়ে এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবং জনমতের ভিত্তিতে আমাদের আরো কিছু দাবি-দাওয়া আছে। এই দাবি-দাওয়া নিয়ে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। আমরা শুনতে পেয়েছি সেটা যোগাযোগ বিঘœতার কারণে হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে সেই দাবিগুলো আমরা সুস্পষ্টভাবে পেশ করব। তার আগে আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে, গুম, হত্যা গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমরা শুরু থেকেই সরকারের কাছে দাবি করেছিলাম শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার জন্য। আজকে এই যে জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে, তাণ্ডব হয়েছে, অগ্নিসংযোগ হয়েছে, সরকারের যানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এর দায়ভার সরকার এড়াতে পারে না। আমরা সব সময় চেয়েছি শান্তিপূর্ণ সমাধান, কিন্তু শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে আজকে এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে তার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। সরকারকে বলব যত দ্রুত সম্ভব ইন্টারনেট সংযোগ চালু করার জন্য। আমরা আমাদের সমন্বয়কদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। যার কারণে আমাদের তথ্যে বিভ্রান্তি হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় আমাদের সাথে সংলাপ দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমরা এতগুলো লাশের ওপর দিয়ে কখনো সরকারের সাথে সংলাপ চাইনি। যারা ছাত্রদেরকে হত্যা করেছে, সেই পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগদের দ্রুত বিচারের মধ্যে এনে আমাদের ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি থেকে আন্দোলনটা শুরু করেছিলাম এবং আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনেই সকল ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে এই আন্দোলনের সমাপ্তি করব।
সারজিস আলম বলেন, সরকারের যে মনোভাব আজকে দেখছি, আজ থেকে পাঁচ দিন আগে যদি সরকারের এই মনোভাব থাকত তবে একটি লাশও পড়ত না। এই দায় কখনোই সরকার এড়াতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এই রুমেও আছেন, তারা ক্যাম্পাসেও ছিলেন; তারা দেখেছেন আন্দোলনের সময় আমরা একটি গাড়িতে স্পর্শ পর্যন্ত করিনি। যখন আমরা বারবার আলোচনার কথা বলেছিলাম তখন আমাদের কথা শোনা হয়নি। আমাদের সমন্বয়ক আসিফের বাবা আজ মর্গে মর্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সন্তানের লাশের খোঁজে, রংপুরের সাঈদকে রাবার বুলেট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে মনে করেন কতগুলো রাবার বুলেট তার গায়ে বিদ্ধ হয়েছে। এগুলোর দায় কোনো দিন সরকার এড়াতে পারে না। আজকে সরকারের নীতিনির্ধারক বিভিন্ন মন্ত্রী যে বক্তব্য দিচ্ছেন এমন একটি বক্তব্য আমরা আশা করেছিলাম। তখন আমাদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়েছে। সরকারের জায়গা থেকে যতকিছুই বলা হোক না কেন পরিস্থিতি এই জায়গায় আসার কথা ছিল না। দুই দিন আগে থেকে আমরা জরুরি ভিত্তিতে চারটি দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এই চারটি দাবি পূরণ না হলে বাকি আটটি দাবি নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। কিন্তু এই চারটি দাবির ব্যাপারে কোনো রেসপন্স আমরা পাইনি। সরকারকে আবারো দুই দিনের আলটিমেটাম দিচ্ছি চারটি দাবি নিয়ে। আমরা চাই বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে শুক্রবারের মধ্যে আমরা সকল ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। দাবিগুলো হলো- ১. ইন্টারনেট সচল করতে হবে। ২. কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে। ৩. ক্যাম্পাসগুলো থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের সমন্বয়ে আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. সকল সমন্বয়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভয়ের মধ্যে থাকি কখন গ্রেফতার করা হয়, কখন আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, কখন আমাদের ওপর নাহিদের মতো শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়। এই চারটি দাবি সরকার মেনে বাকি আটটি দাবি নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা হতে পারে। সরকারই নির্ধারণ করবে আন্দোলন কবে শেষ হবে।
এর আগে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে আসার কথা শুনে সেখানে পুলিশের এডিসি আখতার, এসি ইমরুল ও ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ডিআরইউ ক্যাম্পাস ঘিরে ফেলে। ছাত্ররা যেখানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেই কক্ষেও পুলিশ প্রবেশ করে বসে থাকে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


আরো সংবাদ



premium cement
সামরিক ইনস্টিটিউটে রুশ হামলায় নিহতদের স্মরণে ইউক্রেনের শোক প্রকাশ বন্যায় ফেনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা রাজশাহীতে সাবেক রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে আমেরিকান নাগরিকের হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় পরিবার শিক্ষা জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার : ড. ইউনূস দুই ‘আইরিশের’ গোলে হারল আয়ারল্যান্ড নতুন জার্মানির পুরনো রূপ, উড়িয়ে দিয়েছে হাঙ্গেরিকে বাংলাদেশের পর্যটক না যাওয়ায় ধুঁকছে কলকাতা তালেবানের কূটনৈতিক বিজয়, কিরগিজস্তানের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ ভারতের ৬০ কিমি এলাকা দখল করে ফেলেছে চীন?

সকল