০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ২৮ সফর ১৪৪৬
`

দাবি আদায়ে কঠোর হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

-

পেনশন স্কিম প্রত্যয় বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের টানা ধর্মঘট ১৬ দিনে গড়িয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও ধর্মঘট পালিত হয়েছে। তবে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, আন্দোলন আরো বেগবান করতে এবং বৃহৎ পরিসরে আন্দোলনের গতি বাড়াতে আগামী শনিবার সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে পেনশন স্কিম প্রত্যয় বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে টানা ১৬ দিন ধরেই সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকালও কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এর আগে গত ১ জুলাই থেকে শিক্ষকরা এই কর্মবিরতি শুরু করেন। সরকার ঘোষিত এই পেনশন স্কিম শিক্ষকদের জন্য অপমানজনক বলে দাবি তাদের। তারা বলেন, শিক্ষকরা এতই অবহেলিত যে ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। তারা আশা করেন শিগগিরই সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয় বাতিলসহ তাদের তিন দফা দাবি মেনে নেবে সরকার।
গতকাল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো: নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সাথে শিক্ষকদের আজ (মঙ্গলবার) বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। তবে আমাদের কর্মবিরতি চলবে। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আগামী শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এ কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

উল্লেখ্য এর আগে গত শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকনেতাদের সাথে বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানকার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তার পরদিন সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচির বাস্তবায়ন এক বছর পেছানোর কথা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্র্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত আছে। শিক্ষকদের অন্য দুটি দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবদের মতো বেতনকাঠামো) অন্তর্ভুক্ত করা।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির অংশ হিসেবে প্রতিদিনের মতো গতকালও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে নিজেদের কথা তুলে ধরেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই পেনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিতে গত সোমবারও মিছিল করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement