২২ আগস্ট ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ সফর ১৪৪৬
`

কোটাবিরোধীদের ওপর হামলাকারীরা মনুষ্যত্বহীন : ফখরুল

-

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনসহ পুলিশি হামলার হুকমদাতাদের ‘মানবতাবিরোধী ও মনুষ্যত্বহীন’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম আঘাত করতে যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ছাত্রলীগ গুণ্ডাদের লেলিয়ে দেয় তারা মানবতাবিরোধী ও মনুষ্যত্বহীন। দুর্নীতি ও হানাহানি যাদের অবলম্বন তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনেও শঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারণ লুটপাটের ভাবধারায় চালিত সরকারের দ্বারা কখনোই নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের কোনো অংশেরই অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই সম্মিলিত কণ্ঠের আওয়াজকে নিস্তব্ধ করতে তারা ভয়ঙ্কর হিংস্রতার পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আহত করার কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আহত শিক্ষার্থীদের সুস্থতা ও আশু আরোগ্য কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে : মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের রাজপথের উত্তাল আন্দোলনে সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে। সে জন্যই আন্দোলন দমাতে এখন রাষ্ট্রশক্তি নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এটাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য।
তিনি বলেন, কোটা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ডামি আওয়ামী সরকার ক্রমাগত প্রতারণা করে যাচ্ছে, কারণ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পর চলতি বছর পুনরায় ভিন্ন কায়দায় কোটা পুনর্বহাল করলেন। তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়েই এই হিংস্র হামলা। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে রক্তাক্ত পন্থায় দমনের যে দৃশ্য দেশবাসী অবলোকন করছে তা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আরেকটি হিংস্র অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে সংযোজিত হবে। এদের হাতে জনগণ, রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কখনোই নিরাপদ নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরানোর বীরত্বে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আত্মহারা। দমন-পীড়নের ভয়াবহ পন্থা অবলম্বন করে তারা দেশবাসীকে নিথর-নিস্তব্ধ করতে চায়। আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের ওপর যেভাবে স্টিমরোলার চালাচ্ছে, ঠিক একইভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীর চলমান আন্দোলনকে দমনের পন্থা গ্রহণ করেছে। এ জন্য অবশ্যই এই ধরনের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদেরকে শাস্তি পেতেই হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মাঙ্কি পক্সের কারণে ফের লকডাউন! ইঁদুরের ‘দখলে’ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট, বিড়ালে বরাদ্দ ১২ লাখ ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা : জাতিসঙ্ঘ তদন্ত দল আসছে আজ রিবুট স্পাইরালের প্রভাবে ৮৫ লাখেরও বেশি উইন্ডোজ অচল বঞ্চিতদের সুযোগে অবঞ্চিতদের ভাগ ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের মূলমন্ত্র গাজীপুরে বিভিন্ন দাবিতে ৭টি কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ-অসন্তোষ ভারত বাঁধ খুলে বাংলাদেশের মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে মারতে চায় নগদে প্রশাসক নিয়োগ, আজ দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩০ আগস্টের আগেই গুম বিষয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করবে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাসহ সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত

সকল