৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

‘প্রত্যয় স্কিমে’ বাধ্যতামূলক অংশ নেয়া এক বছর পিছাল

-

চলতি ২০২৪ সালে ১ জুলাই নয়, এখন আগামী বছর ২০২৫ সালে ১ জুলাই বা তার পরে যারা চাকরিতে যোগ দেবেন তাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরেরাও রয়েছেন।
গতকাল রোববার অর্থমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে জানানো হয়েছে, চলতি ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিমে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীও সরকারি কর্মচারীদের মতো যারা নতুন কর্মচারী হিসেবে ২০২৫ সালের ১ জুলাই তারিখ বা তৎপরবর্তী সময়ে চাকরিতে যোগ দেবেন তারা বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন।
এতে বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর আওতায় গত ২০২৩ সাালের ১৭ আগস্ট তারিখ প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের শুভ উদ্বোধন করেন।
বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলন করছেন। এর মধ্যে পেনশন স্কিমে নতুন চাকরিতে যারা যোগ দেবেন তাদের পেনশন স্কিমে যোগদানের সময় ২০২৫ সালের ১ জুলাই নির্ধারণ করার পাশাপাশি পেনশন স্কিমে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেয়া হলো।
এর আগে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে আরো ব্যাপক আকার দেয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে তাদের বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৫ মিলিয়ন মা. ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় তিন হাজার ৮০২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকল্প সহায়তা দেবে ২৫০ মিলিয়ন মা. ডলার এবং বাকি ৭৫ মিলিয়ন মা. ডলার সরকারি কোষাগার থেকে জোগান দেয়া হবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পটির প্রিলিমিনারি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (পিডিপিপি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সম্প্রতি ইআরডি থেকে এক চিঠির মাধ্যমে এডিবি’র সহযোগিতার কথা জানানো হয়েছে
দেশের জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে তাদের বৃদ্ধকালীন জীবন-জীবিকার সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের লক্ষ্যে সরকার ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ করেছে। ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল এ আইনের আওতায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (এনপিএ) প্রতিষ্ঠা করার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী একই বছর ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে সর্বজনীন পেনশনের ৪টি স্কিম যথাক্রমে ‘প্রগতি’, ‘সমতা’, ‘প্রবাস’, ‘সুরক্ষা’ স্কিম ও পরবর্তীতে ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু করা হয়। এরপর থেকেই সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement