১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মাকিদ হায়দার আর নেই

-

কবি মাকিদ হায়দার আর নেই। গতকাল সকালে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মাকিদ হায়দারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল তার লাশ বাংলা একাডেমিতে নেয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তার জন্মস্থান পাবনা লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নামাজে জানাজা শেষে আরিফপুর সদর কেন্দ্রীয় গোরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হবে।
মরহুমের ছোট ভাই আরিফ হায়দার জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসায় মাকিদ হায়দার শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি উচ্চ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
রাজনীতি সচেতন কবি মাকিদ হায়দার স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার পাবনায় তাকে দাফন করা হবে।
মাকিদ হায়দারের জন্ম ১৯৪৭ সালে পাবনার দোহারপাড়া গ্রামে। বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কবি মাকিদ হায়দার লিখেছেন ‘রোদে ভিজে বাড়ি ফেরা’, ‘আপন আঁধারে একদিন’, ‘কফিনের লোকটা’ ও ‘পার্থ ও প্রতিম’-এর মতো কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়া রয়েছে তার গল্প ও প্রবন্ধের বই।
২০১৯ সালে কবিতায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান মাকিদ হায়দার। এ ছাড়া তিনি পেয়েছেন দেশের উল্লেখযোগ্য অনেক সাহিত্য পুরস্কার। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাংলাভাষা সাহিত্যে রেখেছেন বিশেষ অবদান। তার বাবা হাকিমউদ্দিন শেখ ও মা রহিমা খাতুন। সাত ভাইয়ের মধ্যে মাকিদ হায়দার ছিলেন ষষ্ঠ। সাত ভাইয়ের বোনও ছিল সাতজন। মাকিদ হায়দারের ভাই রশীদ হায়দার, জিয়া হায়দার, দাউদ হায়দার, জাহিদ হায়দার, আবিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার সবাই সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের সাথে জড়িত। পাবনার গোপালচন্দ্র ইনস্টিটিউট থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করে ঢাকায় চলে যান মাকিদ হায়দার। এরপর সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ঢাকার বিসিকে চাকরি করতেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement