০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে : কাদের

-

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন ও কোটাবিরোধী আন্দোলন সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলনের পরিস্থিতি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, যে ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। আদালত রায় দিয়েছেন। এখন আদালতের ব্যাপারটি যখন চলমান, সেখানে যেটি আপিল বিভাগে আছে, এ বিষয় নিয়ে তো কথা বলা উচিত নয়। তবে এটি দেশের ব্যাপার, তাই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শিক্ষকদের সাথে দ্রুত বসবেন কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসাবসিটা তো বিষয় না, তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে, সেটি বলতে পারছি না। তবে সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে।
এ সময় আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি ও কয়েকটি দল পরজীবী আন্দোলন করছে। শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের পেনশন স্কিম আন্দোলনের ওপর ভর করে তারা ক্ষমতার ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখছে বলেও উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি ও সমমনা দল নিজেরা পারে না, আজকে তারা পরজীবী আন্দোলন করছে। এটিকে তাই বলতে হবে কোটার ওপর ভর করেছে, পেনশনের ওপর ভর করেছে। নিজেরা ব্যর্থ, অন্যদের ওপর ভর করে আজকে শিকার করতে চায়। তারা স্বপ্ন দেখছে তো, দিবাস্বপ্ন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টেজ, প্রমোশন, ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্র্যাকটিস বন্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগে। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়া উচিত বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই তারা হিসাব দিয়ে দেবে, সবাই প্রস্তুত। সবারই দেয়া উচিত। আমি মনে করি এতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ সম্পদের হিসাব দিতে আপত্তি কোথায়? আপনি যদি সততার সাথে কার্যক্রম করেন তা হলে আপত্তি কিসের!
সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুুর সেতুতে ১১ শ’ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতি তিন মাস পরপরই প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঋণ ফেরত দিচ্ছে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি, সে অর্থ, মন্ত্রণালয়কে আমরা আবার দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হচ্ছে, এতে আমি তো মনে করি, ২৫ বছর লাগবে না, ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমরা ঋণ ফেরত দিতে পারব।


আরো সংবাদ



premium cement