০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জিলহজ ১৪৪৫
`

উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপদসীমার উপরে

জামালপুরে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে গেছে রাস্তা : নয়া দিগন্ত -

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে কোথাও বন্যার সৃষ্টি করেছে অথবা কোথাও খুব শিগগিরই বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে দেশের অভ্যন্তরে ও উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি নদীর দুই কূলের মানুষের বিপদ বাড়িয়েছে। এই নদীগুলোর দুই তীরের অনেক বাড়িঘর ডুবে গেছে। ফলে মানুষের মধ্যে খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। রান্না করার মতো কোনো শুকনো জায়গা না থাকায় কয়েক হাজার পরিবারকে না খেয়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে শুকনো খাবার ও অন্যান্য উপকরণ দরকার। স্থানীয় পর্যায়ে খুবই সীমিত সহায়তা ছাড়া বড় ধরনের সহায়তায় পৌঁছাচ্ছে না বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে নয়া দিগন্তের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। এসব এলাকায় সরকারিভাবে ব্যাপক ভিত্তিতে ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো দরকার। এদিকে সারা দেশেই বৃষ্টি কিছুটা কমে গেলেও উজানের পানি আরো কয়েক দিন আসতে থাকবে। ফলে নদীগুলোর দুই পাশে বন্যার তীব্রতা আরো বাড়তে পারে। ফলে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুসারে, গতকাল পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, ঘাঘট এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, পুরাতন সুরমা ও সুমেশ্বরী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, উলিপুরের হাতিয়া ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার ৬৩ থেকে ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরেক শক্তিশালী নদী যমুনা চার জায়গায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমার সবচেয়ে বেশি ওপরে প্রবাহিত হচ্ছিল ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সুরমা, কুশিয়ারা এবং সুমেশ্বরী নদী। যমুনা নদী ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সাঘাটা, সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সাঘাটা ও সারিয়াকান্দিতে বিপদসীমার ১৯ থেকে ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উত্তরা-পূর্বাঞ্চলের কানাইঘাটে সুরমা নদী প্রবাহিত হচ্ছিল ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
কুশিয়ারা নদী অমলশীদে বিপদসীমার ১৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে কুশিয়ারা নদী শেওলায় বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদী মারকুলিতে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল তবে কুশিয়ারা শেরপুর সিলেটে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায় সুমেশ্বরী নদী বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দেশের যে ১১০টি স্টেশনে নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করে এর মধ্যে গতকাল ৬৪ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কমেছে ৪৩ স্টেশনের পানি এবং পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত ছিল ৪৩ স্টেশনে।
বিপদসীমার ওপরে তিস্তার পানি
রংপুর অফিস জানায়, বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চতুর্থ দফায় বাড়া তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার পানি কমলেও এখনো ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে কাউনিয়া পয়েন্টে। তবে পিবদসীমার নিচে অবস্থান করছে লালমনিরহাটের ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি। এখনো খোলা রয়েছে ব্যারেজের সব ক’টি জলকপাট। অববাহিকার দুইপাড়ের চরাঞ্চল-নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত মানুষের দুর্ভোগে।
উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় রংপুরের কাউনিয়া তিস্তা সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় যা ছিল বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপরে। এ ছাড়াও লালমনিরহাটের ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (৩ জুলাই) ছিল ২৫ সেন্টিমিটার নিচে। এ দিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী, সদর, নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। অববাহিকার অন্তত ৩০ হাজার মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন আছে যাতায়াত। নৌকা-কলার ভেলায় কোনোমতে যাতায়াত করছেন মানুষ। বাড়িঘরে পানি ওঠায় রান্না এবং শিশুদের নিয়ে বিপাকে পানিবন্দীরা। তলিয়ে গেছে উঠতি বাদামসহ ফসলি জমি। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিলেও এসব মানুষের পাশে এখনো পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। পানি নামা শুরু করলেও কমেনি দুর্ভোগ।
তিস্তার পানি কমার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। রংপুরের গঙ্গাচড়ার মর্নেয়া, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারি, মর্নেয়া, কাউনিয়ার বালাপাড়ার গদাই, পীরগাছার ছাওলা, তাম্বুলপুর লালমনিরহাটের হাতিবান্দার সিন্দুরনা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালিগঞ্জের কাকিনা, আদিতমারির মহিষাখোচ, সদরের খুনিয়াগাছ, কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বিদ্যানন্দ, গতিআসাম, বুড়িরহাট, উলিপুরের ঠুটাপাইকর, থেতরাই, বজরা, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ইউনিয়নের অন্তত ১২৫ পয়েন্টে ধরেছে ভয়াবহ ভাঙন। উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, গুরুত্ব বিবেচনায় কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘট সবগুলো নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় গাইবান্ধা পাউবোর দেয়া তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য দিকে ঘাঘট নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে নতুন ব্রিজ এলাকায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারও মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, তার ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়ে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষের এবং গো-খাদ্যের সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জরুরিভাবে এসব এলাকায় বন্যার্ত মানুষসহ গো-খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
জামালপুর বন্যার পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপরে
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, জামালপুরের যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ সব ক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে । এতে জেলা নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলাব্যাপী বিরাজ করছে বন্যা আতঙ্ক।
ইতোমধ্যে তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও বাড়িতে পানি উঠেছে। ভাড়ী বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানির চাপে রাস্তাঘাট ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানিতে চাপে জেলার ইসলামপুরের ইসলামপুর-পচাবহলা-পাঁচবাড়িয়া সড়কের দু’টি স্থানে ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য দিকে পানির স্রোতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে খোলাবাড়ি ও যাওয়ার প্রধান সড়কের ব্রিজের পাশের মাটি সরে গেছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া কাঠারবিল এলাকায় আঞ্চলিক সড়ক ভেঙে গেছে। আর পানি বাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে।
দেওয়ানগঞ্জে রেল কলোনিতে পানি শতাধিক পরিবারের আশ্রয় স্কুলে
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ক’দিনে প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার নয়াগ্রাম ও কাঠারবিল সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সেখানে নৌকায় পারপার হচ্ছে মানুষ। অধিক ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দেওয়ানগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ সড়কের সরদার পাড়া ভাঙ্গন স্থানের কাজ শেষ পর্যায়ে। আজ যোগাযোগ সচল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো: তোফায়েল আহম্মেদ।
বগুড়ায় সহড়াবাড়ী বাঁধ হুমকির মুখে
বগুড়া অফিস জানায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে প্রবল স্রোতে ধুনটের শহড়াবাড়ী বাঁধ (স্পার) ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধটি রার চেষ্টা চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত শহড়াবাড়ি বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সাড়ে তিন হাজার বালুভর্তি জিও বস্তা ফেলা হয়েছে এবং আরো আড়াই হাজার জিও বস্তা ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে বাঁধটি রক্ষায় এই কাজ শুরু করা হয়। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোতের কারণে বাঁধের গোড়ায় বালুভর্তি জিও বস্তা ফেলার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাঁধের মাঝামাঝি স্থানে ধস দেখা দেয়।
ধুনটে ৩টি গ্রাম প্লাবিত
ধুনট (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, ধুনট উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের একাংশ প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়েছে অন্তত সাড়ে ৪০০ পরিবার। গত বুধবার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের সোহড়াবাড়ী, শিমুলবাড়ী ও ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ী গ্রামে ভয়ালগ্রাসী যমুনার পানি প্রবেশ করে। বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, সহড়াবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কৈয়াগাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় পাঠদানসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ বসতভিটা। শিমুলবাড়ী এলাকার মসজিদ, গোরস্থানসহ ডুবে গেছে চলাচলের একমাত্র রাস্তা। এ দিকে সোহড়াবাড়ী ঘাটের নদীরক্ষা বাঁধ অনেকটাই ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
তাহিরপুরে বেড়েছে ভোগান্তি
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। সুরমা, যাদুকাটাসহ জেলার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ সচল হওয়ায় ভাটি এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও ভাঙ্গাচুরা সড়কে দুর্ভোগের পাশাপাশি হাওর এবং নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দী মানুষজনের মধ্যে উদ্ববেগ আর উৎকণ্ঠা এখনো বিরাজ করছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি থেকে পানি নেমেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক এখনো পানিতে ডুবে আছে। সড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে সড়কপথে যোগাযোগ সচল হয়েছে। তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ সচল হওয়ার স্বস্তি ফিরেছে; তবে ভোগান্তি কমেনি।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক ইউক্রেনে তেলের লরি ও মিনিবাসের সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ১৪ হজের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা জানালেন সানিয়া মির্জা বালিয়াডাঙ্গীতে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি কাশ্মিরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮ ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু গাজা যুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নেবে যুক্তরাজ্য : নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবসরের জল্পনার মধ্যেই ভবিষ্যৎ নিয়ে ইঙ্গিত রোনালদোর এলপিএলে একই দিনে সফলতা মোস্তাফিজ-তাসকিন-শরিফুলের রাবি ক্যাম্পাসে রিকশা ভাড়া নির্ধারণ, চালকদের থাকবে পোশাক

সকল